ভিডিও

বগুড়ায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযেগে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

বাদি সাবেক মন্ত্রী মামদুদ চৌধুরীর ছেলে

প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ২০, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : প্রতারণা ও জালিয়াতি করে জাল দলিল সৃষ্টির অভিযোগ এনে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান করিম মোঃ শাহারিয়ার আরিফ ওপেল (৫০) কে আসামি করে বগুড়ার আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি শহরের জলেশ্বরীতলা রায় বাহাদুর সড়কের মৃত এম আরিফুর রহমানের ছেলে। আদালত মামলার অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পিবিআই বগুড়ার প্রতি নির্দেশ দেন।

শহরের শেরপুর রোডের সাতানী বাড়ির সাবেক মন্ত্রী মৃত মামদুদুর রহমান চৌধুরীর ছেলে যোবায়ের রহমান চৌধুরী বাদি হয়ে গত ১৪ আগস্ট বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতে রায়হান করিম মোঃ শাহারিয়ার আরিফ ওপেলকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন। ওই আদালতের বিচারক মোঃ মুমিন হাসান মামলাটির বাদির জবানবন্দী গ্রহণ করেন এবং ওই আদেশ দেন।

পিবিআই কর্তৃক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি আদালত দিন ধার্য্য করেন। আদালতে দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে বাদি যোবায়ের রহমান চৌধুরী অভিযোগ করেন যে, তার বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরীর সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।

বগুড়া শহরের সুত্রাপুর মৌাজায় সাতমাথার অদূরে শেরপুর রোডে পৌরসভা কর্তক প্লান পাশ করে নির্মিত চারতলা এমটিএম প্লাজা এবং তৎসংলগ্ন একতলা টিনসেড ভবনটি বাদি তথা সাতানী পরিবারের পারিবারিক সম্পত্তি।

উক্ত ভবনসহ একতলা টিনসেডটি পৈত্রিক সূত্রে বাদী ও সাক্ষী মাহফুজুর রহমান চৌধুরী, জিসান রহমান, মেহনাজ রহমান, তাহমিনা রহমান, ওয়াসিম রহমান, জুবাইর রহমান, তানভির জামান সাদেক, নওরীন সাদেক প্রাপ্ত হয়ে তালাবদ্ধ রখে।

বাদীর ৪ জন নিরাপত্তারক্ষী ওই ভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত। বাদির বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরী গত ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। গত ৬ জুলাই বেলা ১১ টার বাদি সাক্ষীসহ ওই ভবন পরিদর্শনে যায়। এসময় ওই আসামি ১০০ টাকা মূল্যের ৩ টি ননজুডিসিয়াল স্টাম্পে লিখিত একটি চুক্তিনামা প্রদর্শন করে জানায় যে, গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বাদির বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরী আসামির কাছ হতে ৩ কোটি টাকা গ্রহণ করে উক্ত ভবনের ২৯০০ স্কয়ার ফিট জায়গার পজেশন আসামি বরাবর বিক্রি করেছেন।

আসামি ওই ভবনটির পজেশন বুঝে দেয়ার জন্য দাবি করে নিজেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। বাদি ওই চুক্তিনামার ফটোকপি সংগ্রহ করে দেখেন যে, ওই চুক্তিনামার স্বাক্ষর তার বাবার নয় এবং তার বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরী কোন চুক্তি করে নাই বা দাবিকৃত টাকাও গ্রহণ করেন নাই।

বাদির বাবা মামদুদুর রহমান চৌধুরীর স্বাক্ষর জাল করে জালদলিল সৃষ্টি করে প্রতারণামূলক ভাবে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে দাবি করেছেন মর্মে অভিযোগে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS