ভিডিও

বগুড়ার ধুনটে চাঁদা আদায় বন্ধ হলেও থামেনি সিএনজি চালকদের ভাড়ার নৈরাজ্য

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০৭:২৬ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০৭:২৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার সবগুলো স্ট্যান্ডে অবৈধ চাাঁদা আদায় বন্ধ হলেও ভাড়া নিয়ে চালকদের নৈরাজ্য চলছেই। বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। প্রতিনিয়ত চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) (২৩আগস্ট) অনুসন্ধানে দেখা যায়, ধুনট থেকে বগুড়া, শেরপুর, সোনামুখী, ঢেকুরিয়া, গোসাইবাড়ি, জোড়শিমুল, সোনাহাটা, মথুরাপুরসহ বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন ৫ শাতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলা করে। এলাকার অধিকাংশ যাত্রীই প্রতিদিনের যাতায়াতে সিএনজি অটোরিকশার ওপর নির্ভরশীল।

বিভিন্ন অফিসগামী মানুষ, রোগী, শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ নানা প্রয়োজনে প্রতিদিনই এ পথগুলো ব্যবহার করেন। আগে এসব স্ট্যান্ডে সিএনজি চালকদের কাছে থেকে সড়কের দুরত্ব অনুযায়ী ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হতো, দৈনিক হিসেবে যা লক্ষাধিক টাকা।

এসব টাকার ভাগ যেতো সিএনজির মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতা, ক্ষমতাসীন দলের নেতা, স্থানীয় সন্ত্রাসি ও পুলিশের অসাধু সদস্যের পকেটে। তাই অবৈধ চাঁদা প্রদানের অজুহাত দেখিয়ে চালকরা প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে।

এ অবস্থায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর থেকে এসব সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদা আদায় বন্ধ রয়েছে। এখন এ সব স্ট্যান্ড কিংবা সড়কের মোড়ে মোড়ে টেবিল পেতে কিংবা লাঠি হাতে চাঁদাবাজদের আর দেখা যাচ্ছে না।

ফলে সিএনজি চালকেরা বর্তমানে স্বাধীনভাবে সড়কে চলাচল করছে। তারপরও চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে আগের মতোই অবৈধভাবে অতিরিক্ত হারে ভাড়া আদায় করছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে সিএনজির মালিক ও চালকদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করেও ভাড়া কমানো যাচ্ছেনা।

এ সব সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা জানান, সবগুলো স্ট্যান্ডে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়েছে। এখন আর চালকদের চাঁদার নামে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় না। অথচ সড়কে ভাড়া কমানোর বদলে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে তারা। এরা সাধারণ যাত্রীদের ওপর জুলুম-অত্যাচার করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান প্রয়োজন।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণ জানতে চাইলে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকরা জানান, বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম তাতে নির্ধারিত ভাড়ায় আমাদের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা চাই, এ সড়কে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানো হোক।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS