‘আমাকে কোনো সুপারিশ করতে হয়নি’
বিনোদন ডেস্ক : জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এবারে স্বাধীনতা পুরস্কারের পেয়েছেন গীতিকবি, লেখক, চলচ্চিত্র কাহিনীকার মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। কোন রকম সুপারিশ ছাড়া তিনি পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানান এই গুণী মানুষ।
পুরস্কারপ্রাপ্তির পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে রফিকউজ্জামান বলেন, পুরস্কারের বিষয়ে আমি জানতাম না। টিভিতে স্ক্রল দেখে ফোন করে একজন জানালেন আমি স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছি। এরপর অনেকেই ফোন করে শুভকামনা জানাচ্ছেন। খবরটি পাওয়ার পর আমি আনন্দিত।’ তিনি বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, আমাকে কোনো সুপারিশ করতে হয়নি। কোনো আবেদন করতে হয়নি। আবেদন না করেও যে আমাকে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে, তার জন্য আমি খুব খুশি। সরকার দায়িত্ববোধ থেকে আমাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ভেবেছেন, এজন্য আমি আনন্দিত।’
রফিকউজ্জামান একাধারে চলচ্চিত্রের কাহিনী-চিত্রনাট্য-সংলাপ রচয়িতা। তিনি ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে এবং ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি নিয়মিতভাবে চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখছেন। প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখেছেন। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, তার গানের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই গীতিকার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার, চ্যানেল আই পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
আরও পড়ুনচলতি বছর ১০ বিশিষ্টজনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক) জাহেদা পারভীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।
মন্তব্য করুন