বঙ্গভবনে সুরে সুরে মুগ্ধতা ছড়ালেন তারা, সঙ্গে ছিলেন শান্তা
অভি মঈনুদ্দীন : গেলো ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে একই মঞ্চে ফাতেমা তুজ জোহরা, ফাহমিদা নবী ও আবু বকর সিদ্দিকের সঙ্গে গান গাইবার সুযোগ হলো এই প্রজন্মের বিস্ময়কর কন্ঠের শিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপা, প্রতীক হাসান ও সাব্বির জামানের। এর আগে আরো দু’বার বঙ্গভবনে সাব্বির জামানের গান গাইবার সুযোগ হলেও এবারই প্রথম বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও ফার্স্টলেডি ড. রেবেকা সুলতানার সামনে গান গাইবার সুযোগ হলো লুইপা ও প্রতীক হাসানের। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন এই সময়ে উপস্থাপনায় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপস্থাপিকা শান্তা জাহান।
এই প্রজন্মের নন্দিত সঙ্গীত শিল্পী সাব্বির জামান বলেন,‘ এর আগেও আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো বঙ্গভবনে (সাবেক রাষ্ট্রপতি) মহামান্য রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ স্যারের সামনে দু’বার সঙ্গীত পরিবেশন করার। তবে এবারই প্রথম সুযোগ পেলাম বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন স্যারের সামনে সঙ্গীত পরিবেশন করার। মহান আল্লাহ’র কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা। চেষ্টা করেছি গানে গানে শ্রোতা দর্শকের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াতে। ’
জিনিয়া জাফরিন লুইপা বলেন,‘ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ জায়গায় গান গাইবার সুযোগ পাওয়া অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়। এক জীবনে এমন সুযোগ সবসময়ই সবার ক্ষেত্রে আসেনা। গানের ভুবনে আমি অতি সাধারণ একজন শিল্পী, বলা যায় এখনো গান শিখছি প্রতিনিয়ত। সেই গানে শিক্ষার্থী আমার সৌভাগ্য হলো বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন স্যার ও আমাদের ফার্স্ট লেডি ড. রেকেকা সুলতানা ম্যাডামের সামনে সঙ্গীত পরিবেশন করার। চেষ্টা করেছি সুরে সুরে মুগ্ধতা ছড়াতে। সত্যি বলতে কী স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে গান গেয়ে কতো যে ভালো লাগলো তা ভাষায় প্রকাশের নয়। মহান আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা। ’
দেশের বরেণ্য প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী খালিদ হাসান মিলুর যোগ্য উত্তরসূরী প্রতীক হাসান বলেন,‘ আমার সঙ্গীত জীবনে এবারই প্রথম আমি কোনো মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামনে সঙ্গীত পরিবেশন করেছি। এটা সত্যিই আমার জন্য অনেক বড় এক প্রাপ্তি। বলা যেতে পারে পদক’প্রাপ্তির চেয়েও বড় কিছু। আমার এই আনন্দ এই ভালো লাগা আসলেই ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। দোয়া চাই যেন আগামীতে এমন সুযোগ আসে। কারণ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ জায়গায় গান পরিবেশন করার অনুভূতিটাই অন্যরকম।’
আরও পড়ুনউপস্থাপিকা শান্তা জাহান বলেন,‘ একইসঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার সুযোগ পাওয়টাইতো জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি গর্বিত এমন একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করতে পেরে। ২৬ মার্চ ২০২৪ আমার জীবনে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।’
মন্তব্য করুন