চতুর্থ পরমাণুচুল্লি তৈরি করছে ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান বলেছেন, ইসফাহানে নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এটি দেশের চতুর্থ পরমাণু চুল্লি। খবর ডয়েচে ভেলের।
এর আগে ইরানের সরকার জানিয়েছিল, দেশের দক্ষিণে একটি পরমাণু প্রকল্পের কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। মহম্মদ ইসলামি ইরানের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রধান। তিনি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ‘ইসফাহানে নতুন পরমাণু চুল্লি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ভিতে কংক্রিট ঢালা হয়েছে।’
ইরানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ এই খবর প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, নতুন এই পরমাণু চুল্লিটি ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। সঙ্গে এটি আরো বেশ কিছু কাজ করতে সক্ষম হবে। এই চুল্লি তেল এবং পরমাণু সংক্রান্ত জিনিস পরীক্ষা করতে পারবে। রেডিওআইসোটোপ তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির। এছাড়াও রেডিওফারমাসিউটিকলসও তৈরি করার ক্ষমতা আছে এই চুল্লির। ইসফাহানের এই কেন্দ্রে এর আগে তিনটি পরমাণু চুল্লি তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলি এখন সচল। এটি চতুর্থ চুল্লি।
ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব বরাবরই উদ্বিগ্ন। তাদের বক্তব্য, ইরান যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত করছে, তা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়। বস্তুত, একের পর এক পরমাণু কেন্দ্র গড়ে তুলে ইরান আসলে অস্ত্র তৈরির পথেই এগোচ্ছে বলে মনে করছে পশ্চিমা দেশগুলি। ইরান অবশ্য কখনোই এই বক্তব্য সমর্থন করে না। তারা বরাবরই জানিয়ে এসেছে যে, তাদের সমস্ত পরমাণু প্রকল্পই জনগণের জন্য। অর্থাৎ, মূলত বিদ্যুৎপ্রকল্প। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলি ইরানের এই বক্তব্য সমর্থন করে না। বস্তুত, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলির। ২০১৮ সালে ট্রাম্পের সময়ে আমেরিকা সেই চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।
আরও পড়ুনজাতিসংঘের পরমাণু প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়ের সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি জানিয়েছেন, ইরান তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। পরমাণু প্রকল্প সম্পর্কে কোনো তথ্য ইরান তাদের দিচ্ছে না।
মন্তব্য করুন