ভিডিও

যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েও ট্রফি পেল না বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ১২:৪১ দুপুর
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ১২:৪১ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্পোর্টস ডেস্ক : মহা নাটকীয়তায় শেষ হয়েছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে সেখানেও ১১-১১ সমতায় শেষ হয়। এরপর টস ভাগ্যে ভারতকে জয়ী ঘোষণা করেন ম্যাচের রেফারি। তবে বাইলজে টস না থাকায় সেটি বাতিল করে আবার টাইব্রেকার করার সিদ্ধান্ত নেন রেফারিরা। কিন্তু ভারত সেই সিদ্ধান্ত না মেনে মাঠ ছেড়ে চলে যায়। লম্বা সময়ের আলাপ-আলোচনা আর অপেক্ষা শেষে টস বিতর্কের ফল বাতিল করে বাংলাদেশ ও ভারতকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।

মূলত ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়ার এক ভুলেই কলঙ্ক লেপে যায় সাফের ফাইনালে। নিয়ম অনুযায়ী, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো এক দল এগিয়ে না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত শট নেওয়া চলতে থাকবে। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তেমনটা হয়নি। নেপালি রেফারি অঞ্জনা রায় টাইব্রেকার চলমান রাখতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঠিক তখন শ্রীলঙ্কার জয়সুরিয়া সিলভা রেফারিকে ডেকে এনে টস করার নির্দেশনা দেন। টস ভাগ্যে ভারতকে জিতিয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রতিবাদে ভুল বুঝতে পারেন ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়াসুরিয়া। নিয়মানুযায়ী ফল না আসা পর্যন্ত টাইব্রেকার চালিয়ে যাওয়ার জন্য ফের দুই দলকে মাঠে নামার অনুরোধ জানান শ্রীলঙ্কান এই কমিশনার। এর প্রতিবাদে ভারত মাঠ ছেড়ে চলে যায়। তবে বাংলাদেশ দল শেষ পর্যন্ত মাঠে অবস্থান করে। 

পরে দুই ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করার পরও ভারত মাঠে না নামলে দু’দলকেই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। আর এটি না করে যে উপায়ও ছিল না সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল। আর এই ভুলের জন্য তিনি এর দায় দিয়েছেন জয়াসুরিয়াকে। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হলেও আপাতত সাফের ট্রফি যাচ্ছে ভারতেই।

বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে আখ্যা দিয়ে হেলাল বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অতীতে কখনই এমন হয়নি। ভুলটা হয়েছে ম্যাচ কমিশনারের জন্য। সে নিয়মকানুন পুরোপুরি না দেখেই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমরা এএফসির সঙ্গে কথা বললে ওরা আমাদের জানিয়েছে, ফল না আসা পর্যন্ত পেনাল্টি শুটআউট চালিয়ে যাওয়াটাই নিয়ম।’ কিন্তু সাফের নিয়মানুযায়ী যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার নিয়ম নেই। ম্যাচের সিদ্ধান্ত জানাতেও অনেক সময় নিয়েছে টুর্নামেন্ট আয়োজকরা। এর কারণ হিসেবে হেলাল বলেন, ‘আমাদের কিছু করার ছিল না। সমঝোতার জন্য আমরা কয়েকটা প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। এক ম্যাচটা পরিত্যক্ত করে পুনরায় ম্যাচ আয়োজন করার। দুই টাইব্রেকার চালিয়ে নেওয়া এবং তিন যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা। আমরা আলোচনায় অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত তারা রাজি হয়, যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে। তাই এই সিদ্ধান্ত।’

যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছিল সাফের শিরোপা তবে কারা পাচ্ছে। যৌথ চ্যাম্পিয়ন হলেও অতিথি দল হওয়ায় ট্রফি নিয়ে যাবে ভারত। এ বিষয়ে আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘ট্রফিটা আপাতত আমরা ভারতকে দিয়ে দিয়েছি। আরেকটা ট্রফি তৈরি করে পরে বাংলাদেশকে দিয়ে দেব। টুর্নামেন্ট-সেরা, ফেয়ার প্লে পুরস্কারগুলো পরবর্তীতে দেওয়া হবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS