হোম মেড খাবারে সুমির মাসে আয় ৫০ হাজার টাকা
সাজেদুর আবেদীন শান্ত: কর্মজীবন শুরু হয় কমার্শিয়াল ব্যাংকে চাকরির মাধ্যমে। কিন্তু ছোট বাচ্চাকে নিয়ে চাকরি করতে অসুবিধা হওয়ার কারণে ৪ বছর পর চাকরি ছাড়তে হয় তার। এরপর একটি স্কুলে শিক্ষকতা করান তিনি। দীর্ঘ ১১ বছর শিক্ষকতা করার পর করোনার সময় স্কুলটি বন্ধ হয় যায়। ফলে আবারও অবসর সময় কাটে তার।
পরে হোম মেড খাবার নিয়ে পথচলা শুরু হয় তার। আর সেই হোম মেড খাবারের কারণেই তিনি হয়ে যান উদ্যোক্তা। শুরুটা শখের বসে হলেও এখন তা পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। আর এ পেশা থেকেই তার মাসে আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বলছি মুন্সীগঞ্জ জেলার সফল উদ্যোক্তা সুমি সুলতানার কথা।
উদ্যোক্তা জীবনের গল্প বলতে গিয়ে সুমি বলেন, ‘শিক্ষকতা করতাম একটা স্কুলে। কিন্তু করোনার সময় তা বন্ধ হলে অবসর সময় পাই। আর এ অবসর সময়কে কাজে লাগাতে অনলাইনে হোম মেড ফুডের বিজনেস শুরু করি। প্রায় দেড় বছর স্কুল বন্ধ ছিল। ততদিনে আমার হোম মেইড ফুডের বিজনেস দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো’। সুমি আরও বলেন, ‘পরিবার সামলিয়ে উদ্যোক্তা জীবনে পদার্পণ একটু কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। আমি পেরেছি স্বাধীনভাবে নিজের একটা উদ্যোগ দাঁড় করাতে। আমার উদ্যোগের সবচাইতে বড় বেনিফিট এটাই আমি নিজেই পুরো সংসার আর বাচ্চাদের সময় দিয়ে উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে পারছি। আমার উদ্যোগের পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান আমার বাবা-মা ও স্বামীর। আমি যেখানে হেরেছি সেখানেই তারা আমাকে সাহস যুগিয়েছেন’।
আরও পড়ুনসুমি জানান, উদ্যোগের জন্য তিনি সরকারিভাবে একটা অনুদান পেয়েছিলেন। এ অনুদান তাকে তার কাজের ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স, ওয়েবসাইট তৈরী, বিভিন্ন খাবারের উপর ট্রেইনিং করার সুযোগ ইত্যাদি। তিনি আরও জানান, সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্যে অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। এর ফলে নারীরা ঘরে থেকে নিজেকে স্বাবলম্বী করছেন, দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন’। সুমি ইডেন কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। এরপর ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি এড করেন। এছাড়াও নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উদ্যোক্তাজীবনের পথ সুগম করার লক্ষ্যে রান্নার বিষয়ে বেশকিছু ট্রেনিং করেন। সুমির ইচ্ছা তিনি তার এই হোম মেড খাবারের একটি রেস্টুরেন্ট দিবে যেখানে অনেক নারীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
মন্তব্য করুন