ভিডিও

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে একই স্থানে বিএনপি’র দুই পক্ষের সমাবেশ ডাকায়, ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৯:৪৮ রাত
আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৯:৪৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

করতোয়া ডেস্ক : জয়পুরহাট উপজেলার পাঁচবিবি বিএনপি’র দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর একই স্থানে একই সময়ে উভয় পক্ষই প্রতিবাদ সমাবেশ আহবান করার প্রেক্ষিতে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায়, পাঁচবিবি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারা বলবত ছিলো। এ কারণে আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় পৌর শহরের তিনমাথায় কোন পক্ষই প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৌর এলাকায় টহল দেয়।

পাঁচবিবি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বিএনপি’র দুই পক্ষ একই সময়ে একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কায় বেলা ২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পাঁচবিবি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাওসার আলী বলেন, পাঁচবিবি পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পৌর শহরে টহল দেয়। তবে বিএনপি’র কোন পক্ষই প্রতিবাদ সমাবেশস্থল তিনমাথায় আসেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি’র দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান চৌধুরীর অনুসারী। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবদুল গফুর ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন।

গত ৫ আগস্টের পর আবদুল গফুরের পক্ষে যোগ দেন শামীম। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বারোয়ারি মন্দিরের সামনে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে রাত ১১টার দিকে তিনমাথা এলাকায় হারুন-অর-রশিদ নামে শামীমের এক অনুসারীকে মারধর করেন সাইফুল-হান্নানের লোকজন।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে একটি মিছিল বের করে গফুর-শামীম পক্ষের লোকজন। মিছিলটি দানেজপুর এলাকায় একটি চাতালে পৌঁছলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে চারজন আহত হন। পরে পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার পর আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় পৌর শহরের তিনমাথায় দুই পক্ষই প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করে। আইনশৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। এতে বিএনপি’র দুটি পক্ষের কেউই প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারেনি।

এ ব্যাপারে পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রাইটের চাতালে বসে আলোচনা করছিলাম। এসময় আব্দুল গফুর ও শামীম হোসেনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়।

এতে আমাদের চারজন নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়া রেলস্টেশন সড়কে উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের আসবাবপত্র ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বিকেল ৩টায় তিন মাথায় প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকি। কিন্তু প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, সাইফুলের লোকজন প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ নিয়ে শামীম ও সাইফুলের লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। আমরা থানার নতুন কমিটি গঠন ও দলীয় নেতা দীপনকে মারধরের প্রতিবাদে বিকেল ৩টায় তিনমাথায় প্রতিবাদ সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করায় প্রতিবাদ সমাবেশ করা যায়নি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS