প্রথম আলোর সংবাদে ভুল তথ্য : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি সংবাদে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। সংবাদটিতে প্রকাশিত তথ্যের ফ্যাক্ট চেকিং করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দৈনিক প্রথম আলো গত ২ নভেম্বর প্রথম পাতায় একটি খবর প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ঢাকায় খুন, ছিনতাই এবং ডাকাতি তীব্রভাবে বেড়েছে।
পত্রিকাটি দাবি করেছে, ঢাকায় দুই মাসে ১৯২ জন নিহত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে অন্তত ২১ জনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় হত্যা করা হয়েছে।
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরটি সত্য নয় দাবি করে প্রেস উইং বলছে, এটি ত্রুটিপূর্ণ এবং প্রতিবেদনের তথ্যগুলোর ফ্যাক্ট চেক সঠিকভাবে করা হয়নি, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই প্রতিবেদনটি ধারণা দেয় যে, জুলাই ও আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গণ-অভ্যুত্থানের পরপরই ঢাকায় অপরাধের মাত্রা তীব্রভাবে বেড়েছে।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নিশ্চিত করেছে যে, রাজধানীতে এই সময়কালে নিহতের সংখ্যা ৬৮ (১৯২ নয়) এবং মোহাম্মদপুরে ১০ জন নিহত হয়েছে (২১ নয়)।
আরও পড়ুনডিএমপি এ বিষয়ে প্রথম আলোকে দেওয়া এক প্রতিবাদপত্রে ব্যাখ্যা করেছে যে, পত্রিকারটি খবরে দাবি করা তিন গুণ বেশি মৃত্যুর কারণ মূলত জুলাই-আগস্টে নিহতদের মধ্যে অনেকের পরিবার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে হত্যা মামলা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হয়েছিল, কিন্তু পুলিশের রেকর্ডে এসেছে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে।
প্রথম আলো ডিএমপির পাঠানো প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে। তবে ডিএমপির স্পষ্ট ব্যাখ্যা সত্ত্বেও সংবাদপত্রটি তাদের প্রতিবেদন সংশোধন করেনি, যা রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা তৈরি করেছে।
প্রথম আলো একটি দায়িত্বশীল সংবাদপত্র হিসেবে ডিএমপির ব্যাখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনলাইনে তাদের প্রতিবেদনটি আপডেট করবে বলে আশা সরকারের।
প্রেস উইং জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর ভেঙে পড়া আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে জনজীবনে স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এবং পুলিশ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়ানো এবং প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের কাজ চলমান রয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন