ভিডিও বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

সবকিছুর সংস্কার প্রয়োজন নেই এটা করবে নির্বাচিতরা : ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল

সবকিছুর সংস্কার প্রয়োজন নেই এটা করবে নির্বাচিতরা : ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল, ছবি : দৈনিক করতোয়া

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৭ বছরের জঞ্জাল ১৭ দিনে কিংবা ১৭ মাসেও সরানো সম্ভব নয়, এটাই সত্য। এ জন্য অন্তর্র্বর্তী সরকারকে সময় দিতে হবে। আমরা বারবার বলেছি, সবগুলো সংস্কারে হাত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। নির্বাচিত যে পার্লামেন্ট আসবে, তারা সেই সংস্কারের কাজগুলো করবে।

গতকাল বুধবার শহরের কালীবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, সেই নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন ব্যবস্থাকে উপযুক্ত করা এবং লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে উপযোগী করে তোলার জন্য আমরা বলেছি।

দেশের রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা সব কিছুর জন্য একটি নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত পার্লামেন্ট অত্যন্ত জরুরি। সে কথাটাই আমরা বারবার করে বলছি। এটির যেহেতু সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই যে কতজন সদস্য হবে, সেক্ষেত্রে এটা তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী করে। অনেক সময় দেখা যায় প্রয়োজন অনুযায়ী ৪০-৫২ জন করে থাকে।

এখন পর্যন্ত তারা ২১টা করেছে। এত বড় একটা দেশ পরিচালনার জন্য এটা হতেই পারে। এক্ষেত্রে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমন্বয় দারকার নেই। আর তারা প্রয়োজন মনে করলে সমন্বয় করতে পারে। আর তারা কাকে উপদেষ্টা বানাবে বা বানাবে না এটা সম্পূর্ণরুপে দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনুসের। তবে নির্দিষ্ট বিধান না থাকলেও উপদেষ্টা যাদের নেবেন তারা যাতে করে বিতর্কিত না হোন সেদিকে খেয়াল রাখতে আমি অনুরোধ করবো।

আওয়ামী লীগের ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বা আওয়ামী লীগ যে কাজটা ভালভাবে করেছে সেটা হলো জাতিকে বিভক্ত করা। এই বিভক্তি দূর করে আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। মতামত ভিন্ন থাকতেই পারে একটি গণতান্ত্রিক দেশে। কিন্তু ঐক্যগুলো থাকবে কতগুলো মৌলিক বিষয়ে।

একটা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্তের বিষয়ে, একটা থাকবে গণতন্ত্রের বিষয়ে, মানুষের অধিকারের বিষয়ে। সেই ঐক্য রাখতে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি।

আরও পড়ুন

এ আন্দোলনকে বেগবান করতে আমরা কিন্তু ৬৩টি দল যুগোপৎ আন্দোলন করেছি। জাতি হিসেবে আমাদের সহিষ্ণু হতে হবে। ১৭ বছরের একটা জঞ্জাল সরাতে ১৭ দিনও সম্ভব না, ১৭ মাসেও সম্ভব না। এর জন্য আপনাদের যারা আছেন তাদের দায়িত্ব কম। যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার আসবে তখন সেই পার্লামেন্ট সে কাজগুলো করবে। এ সরকারের জন্য মূলত দায়িত্ব হবে যে একটি নির্বাচনের জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মির্জা ফয়সল আমীন, সাবেক সংসদ সদস্য মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি মো: শরিফুল ইসলাম শরিফ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুরসহ জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে নিজ বাসভবনের সামনে জেলা বিএনপির বর্ধিত সভায় যোগ দেন তিনি।  

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে বসে শেখ হাসিনার মোবাইল ফোন ব্যবহার ও বিবৃতি নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ

হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলায়মান কারাগারে 

ফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে করণীয়-বর্জনীয়

‘চক্ষু সেবা ক্যাম্প’ পরিচালনা করলো ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

লৌহজংয়ে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ; আহত ৬

চুয়াডাঙ্গায় পান বরজের পাশে থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার