প্রকৃতির একটি ন্যাচারাল রিভেঞ্জ আছে, যা হাসিনা পাচ্ছেন: সারজিস আলম
মফস্বল ডেস্ক: ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’- এর সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, হাসিনার কোনো দোসর যদি বিগত সময়ে অন্যায়, অত্যাচার ও অপকর্ম করে থাকে তাদের আইনগতভাবে যে শাস্তি হওয়া দরকার সেটিই যেন হয়। একইভাবে কোনো নির্দোষ মানুষ কোনোভাবে এখন যেন কারো দ্বারা অন্যায়ের শিকার না হয়।সৃষ্টিকর্তা ও প্রকৃতির একটি ন্যাচারাল রিভেঞ্জ আছে। যেটা শেখ হাসিনা এখন পাচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা যদি একই কাজ করে তাহলে এক দলের সাথে আরেক দলের কামড়াকামড়ি যাবে না। সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা সেটা কোনোদিন স্টাবলিস হবে না।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বিগত ১৬ বছরে কীভাবে বিএনপি জামায়াতসহ অন্য দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যে মামলা দিয়েছে, গুম, খুন ও নির্যাতন করেছে আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা প্রশাসনকে অপব্যবহার করে যে কাজগুলো করেছে এর ফল কি হতে পারে তা ১৬ বছর পর স্বচক্ষে দেখিয়েছে। যেই নেতাকর্মীরা তার ওপর এতো ভরসা করতো তাদেরকে খোলা মাঠে রেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আছে। এই শিক্ষাটা আমাদের নিতে হবে। এই একই কাজ যেন এখন থেকে আমরা না করি। যারা ভালো, ভালো কাজ করেছে, কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল না তারা যে দলেরই হোক তাদের সঙ্গে যেন নতুন করে অন্যায় না হয়।
সারজিস বলেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ ভালো, মন মানসিকতা ভালো। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সামান্য কিছুতেই আমাদের মধ্যে প্রচুর মনোমালিন্য, প্রচুর বিভাজন। এই চিন্তা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। মাদকের সঙ্গে যারাই যুক্ত থাকবে, তার পেছনে যেই থাকুন না কেন, সে যত বড়ই কিছুই হোক না কেন, যেই পদধারী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বলেন, আমি তখনি কারো সুনাম করব, সে যেই দলেরই হোক না কেন যদি তার কাজ ভালো হয়। কাউকে আমি সমালোচনার তীরে বিদ্ধ করব, সে যে দলেরই হোক না কেন যদি তার কাজ খারাপ হয়। প্রত্যেকের পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। কেউ একজন অন্যদল করে সে প্রতিপক্ষ ও শত্রু, এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
সব শেষে বলেন, আমাদের এই মেলা চিত্ত বিনোদনের একটা জায়গা হোক। কিন্তু মেলার কোনো একটি উপকরণ যেন তরুণ সমাজকে বিপথে না নেয় এবং বিপথে নিতে প্ররোচিত না করে। এমন উপকরণ থাকা যাবে না।
এসময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও মেলা কমিটির সদস্যরা।
মন্তব্য করুন