কম শ্রমে ও খরচে বেশি লাভ
বগুড়ার শেরপুরের কৃষকদের সরিষা চাষে ভালো লাভের আশা

শেরপুর (বগুড়া) সংবাদদাতা : বগুড়ার শেরপুরের কৃষকরা সরিষা চাষে এবার ভালো লাভের আশা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষা গাছে এবার প্রচুর ফুল এসেছে পাশাপাশি রোগবালাই নেই বললেই চলে। ফলে ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা। গত তিন বছরের তুলনায় এবারে হাট-বাজারগুলোতে সরিষার চাহিদা ও দাম বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার এ উপজেলায় ৩ হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৫ মেট্রিকটন।
এরমধ্যে টরি-৭ জাতের সরিষা ৪১০ হেক্টর, বিনা সরিষা-৯ জাতের ১২৬ হেক্টর, বিনা সরিষা-১১ জাতের ৫ হেক্টর, বারি সরিষা-১৪ জাতের ১ হাজার ৮৬১ হেক্টর, বারি সরিষা-১৭ জাতের ২৭৫ হেক্টর, বারি সরিষা-১৮ জাতের ৩ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ আশা করছেন এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠজুড়ে যেন হলুদের বিছানা বিছিয়ে রাখা হয়েছে।
উপজেলার খামারকান্দি গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, সরিষা চাষে দু’টি লাভ হয়। প্রথমত হলো দুই আবাদের মাঝখানে যে সময়টুকু পাওয়া যায় সেই সময়েই এই আবাদ ঘরে তোলা যায়।
এছাড়াও ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পেলে ভালো লাভ হয়। দ্বিতীয়ত সরিষা চাষের সময় যে পরিমাণ রাসায়নিক ও জৈব সার ব্যবহার করা হয় তাতে পরবর্তীতে ধানের আবাদের সময় নতুন করে আর কোন সার দিতে হয় না। ফলে ধান চাষে কম খরচে ফসল ঘরে তোলা যায়।
উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে কৃষক ফাইজুল ইসলাম জানান, প্রতি বিঘা জমিতে সার, হাল চাষ, পানি সেচ ও শ্রমিকমূল্য দিয়ে প্রায় ৮ হাজার টাকার মতো খরচ করে সরিষা ঘরে তোলা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৭ মণ সরিষা উৎপাদন হয়। সরিষা তোলার সময় ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক। বাজারে সরিষা তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে সরিষা ভালো দামে বিক্রিও করতে পারছেন। এবারের আবহাওয়া কৃষির জন্য অনুকূল হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন