ভিডিও বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫

রংপুরের পীরগাছায় বেড়েছে গরু চুরি রাতে গোয়ালঘর পাহারা

রংপুরের পীরগাছায় বেড়েছে গরু চুরি রাতে গোয়ালঘর পাহারা। প্রতীকী ছবি

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগাছায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে গরু চুরির ঘটনা। সংঘবদ্ধ চোররা গভীর রাতে গৃহস্থের ঘরের দরজা আটকে গোয়াল ঘর খালি করে নিয়ে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি জাতের মূল্যবান গরু। গত এক মাসে পীরগাছা উপজেলায় ৫০টির অধিক গরু চুরির ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়ছেন কৃষক ও খামারিরা। গরু চুরি আতঙ্কে অনেকেই রাত জেগে গোয়াল ঘর পাহারা দিচ্ছেন। গত এক মাসে পীরগাছা থানায় একটি গরু উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। গরু চুরির বিষয়ে থানা পুলিশের তেমন কোন তৎপরতা নেই বলে দাবি করছেন কৃষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোটা উপজেলা জুড়ে কয়েকটি গরু চুরির সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে পারুল ইউনিয়নে এ চক্রের কয়েক গ্রুপ রয়েছে। গরু চুরির সদস্যরা রাতে কৃষকের বাড়ির পাশে পি-কাপ লাগিয়ে পুরো গোয়াল ঘর ফাঁকা করে দিচ্ছেন। গত এক মাসে মধ্যে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের বিরাহীম গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদের ২টি বিদেশি ষাঁড় এবং আব্দুল খালেকের ৩টি বিদেশি ষাঁড়, আব্দুল আজিজের ২টি এবং গুঞ্জর খাঁ গ্রামের হাফিজুর রহমানের ৬টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।

এছাড়াও উপজেলার সদরের তালুক ইসাদ (চাকলারপাড়) গ্রামের ব্যবসায়ী নুর আলমের ৩টি, ঝাকুয়াটারী গ্রামের জুয়েল মিয়ার ৪টি, চৌধুরাণীর কুতুব্বাস গ্রামের আইনুল হকের ২টি, ইটাকুমারীর সাতভিটা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ১টি, অন্নদানগরের জগজীবন (মমিন বাজার) এলাকার মতিয়ার রহমানের ৪টি, পেটভাতা গ্রামের আব্দুল জলিলের ৪টি গরু চুরি হয়। এসব গরুর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানান, পারুল ইউনিয়নের আব্দুল ছাত্তারের ছেলে ফরহাদ হোসেন, পারুল গ্রামের তালেব মিয়া ও সেচাকান্দি গ্রামের দিবেন্দ্রনাথ, তালুক পারুল গ্রামের ভুট্টু মিয়া গরু চোর চক্রের মূলহোতা। তারা দীর্ঘদিন থেকে এ পেশার সাথে জড়িত। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে তাদের বাড়ি থেকে অনেক চোরাই গরু এবং জবাই করা গরুর মাংস উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এসব বিষয়ে জানতে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা পলাতক থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, গোয়াল ভরা গরু থাকতে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু চোরের দল এক রাতেই আমাকে ফকির করে দিয়ে গেছে। গোয়াল ফাঁকা করে ৬টি গরু নিয়ে গেছে আমার। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কোন খোঁজ নেই।

এ বিষয়ে পারুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন তার ইউনিয়নে গরু চোরচক্র বসবাস করার কথা স্বীকার করে বলেন, চুরির সাথে জড়িতদের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও এ পথ থেকে তাদের ফেরানো যাচ্ছে না। আমরা স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নিয়ে সর্তক পাহারার ব্যবস্থা করেছি।

এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, গত এক মাসে গরু চুরির ঘটনায় একটি গরু উদ্ধার ও একটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র টহল পুলিশ যাচ্ছে। এছাড়া কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। আমরা চেষ্টা করছি এ চক্রের মূলহোতাদের ধরার জন্য।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লালমনিরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় এবার বোতল ঝুলিয়েছে বিএসএফ

বগুড়ায় মাদককরবারিরা অপ্রতিরোধ্য ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা, কিশোর ও যুবা

তিন যুগেও পূর্ণাঙ্গ হয়নি বগুড়ার কাহালু বেতারের সম্প্রচার কেন্দ্র

বগুড়ায় পলিথিনের ব্যবহার রোধে অভিযান

পাবনার চাটমোহরে সড়কে সরকারি গাছ কাটার হিড়িক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভটভটি উল্টে চালক নিহত