বাগেরহাটে সরকারি চাল মজুদের দায়ে ৬০০ বস্তা চালসহ গ্রেপ্তার ২
নিউজ ডেস্ক: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাথলী গ্রামের কেরামত আলী মার্কেটের একটি গোডাউন থেকে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে ফকিরহাট থানা ও খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে এসব চাল জব্দ করা হয়।
এ সময় সরকারি চাল সংরক্ষণ ও বিক্রির চেষ্টার অপরাধে গুদামের অন্যতম মালিক আশাতীত মজুমদার (২১) ও কর্মচারী আব্দুর রসূলকে (৪৫) আটক করে পুলিশ। জব্দ করা প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি চাল ছিল, যা মোট ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় ক্রয় করেছিলেন গুদামের মালিক।
আটক আশাতীত মজুমদার ফকিরহাট উপজেলার কাথলী গ্রামের প্রফুল্ল মজুমদারের ছেলে এবং ‘মজুমদার ভাণ্ডার’-এর অন্যতম মালিক এবং তাদের কর্মচারী আব্দুর রসূল বারাশিয়া গ্রামের দাবির উদ্দীন ভূইঁয়ার ছেলে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুনপুলিশ জানায়, বগুড়ার করতোয়া চাউল কলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আসিফ এন্টারপ্রাইজ থেকে তারা ৩০ কেজি ওজনের ৬৬৭ বস্তা ওএমএসের চাল ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। বুধবার সকালে সেই চাল গোডাউনে পৌঁছালে বিভিন্ন দোকানে পাইকারি ও খুচরা বিক্রির জন্য নুরজাহান রাইস নামে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বস্তায় পরিবর্তনের কাজ শুরু করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ এসে আশাতীত মজুমদার ও তার কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেন এবং খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত সব চাল জব্দ করেন।
ফকিরহাট উপজেলার উপখাদ্য পরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এই এলাকায় যত গুদাম রয়েছে, প্রত্যেকটি গুদাম তল্লাশি করা হবে। সরকারি চাল মজুদ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন এই কর্মকর্তা।
ফকিরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে চালের বস্তাগুলো জব্দ করা হয়েছে। এই ব্যবসায়ী দুই ধরনের অপরাধ করেছেন। সরকারি চাল আত্মসাৎ ও ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার উদ্দেশ্য ছিল তাদের। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন