রংপুর জেলার ভূমি অফিসগুলোতে সেবাগ্রহীতারা দুর্ভোগের শিকার
রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর জেলার ভূমি অফিসগুলোতে সেবা নিতে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে গ্রামের সহজ সরল মানুষ সীমাহীন হয়রানির শিকার হন। খাজনা পরিশোধ, নামজারি আর জমি খারিজ করতে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবদারও মেটাতে হয় তাদের। রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের আব্দুল খালেক, রহিম ও হাসেম মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আবদার ছাড়া খাজনা পরিশোধ, নামজারি বা খারিজ কোনো সেবা পাওয়া যায় না। আবদার মেটালেই সব সেবা দ্রুত মেলে।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা চার ভাই মিলে ভূমি অফিসে জমি সংক্রান্ত কয়েকটা কাগজ তুলতে গিয়েছিলাম। আবদার ছাড়া কোনো কাগজ তুলতে পারিনি। আবদারটা কেমন ছিলো জানতে চাইলে ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা ভাইরা ছয় হাজার টাকা দিছি তাতেই কাজ হয়েছে। আরও এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার জমির সম্পূর্ণ খাজনা দিতে গেলে ১০ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু আমার অল্প জমি, তাতে তো এক হাজার টাকা হলে হয়।
অভিযোগের বিষয়ে হরিদেবপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাহবুবুল হাসান দাবি করেন, দালালদের দৌরাত্ম্য আগের তুলনায় কমেছে। যারা অভিযোগ করছেন তারা সরকারি কোন নিয়ম কানুন জানেন না। না জেনে তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দেন।
আরও পড়ুনরংপুরের হাজীরহাট থানার উত্তম মৌজার এক দশমিক এক সাত একর জমির খাজনা পরিশোধের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন স্থানীয় বাসিন্দা আবু জাফর। তবে খাজনা বাবদ বকেয়া ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা দেখালে তিনি বিপাকে পড়েন। সমস্যার সমাধানে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কাছে গেলে কোনো সমাধান মেলেনি। পরে সহকারী কমিশনার বরাবর খাজনা সংশোধনের আবেদন করলে তদন্তে বেরিয়ে আসে প্রকৃত বকেয়া মাত্র ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফুল ইসলাম জানান এরকম কোনো লিখিত অভিযোগ এলে আমরা সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। রংপুর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক পলাশ কান্তি নাগ বলেন, একটি জবাবদিহিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি যারা এই ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
মন্তব্য করুন