ভিডিও বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

টিম রেডি,রাতে মানুষদের ঘুমাতে দেব না; গাজীপুর মেয়র

টিম রেডি,রাতে মানুষদের ঘুমাতে দেব না; গাজীপুর মেয়র

নিউজ ডেস্ক: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কণ্ঠসদৃশ একটি ফোন কল রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিভিন্ন ধরনের উস্কানীমূলক পরামর্শ দিতে শোনা যায়।

রাজধানীর মানুষ যেন রাতে ঘুমাতে না পারে, সে জন্য তারা টিম রেডি করেছেন বলে ফোন কল রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভাইরাল হয় ছয় মিনিটের ফোন কলটি। যেখানে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “কয়েকটা মিনিট আমার কথা ধৈর্য ধরে শুনেন। এখানে সম্রাট ভাই আছেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। আমাদের সেভেন্টি থেকে এইট্টি পারসেন্ট টিম আছে। আমাদের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে শৃঙ্খলার মাধ্যমে থাকতে চাই। আমাদের কথা স্পষ্ট, যে রাজধানীতে দিনের বেলা স্বাধীনভাবে আমরা ঘুরতে পারব না, চলতে পারব না; আমাদের চূড়ান্ত ডিসিশন সেই রাজধানীতে রাতের বেলায় মানুষ ঘুমাতে পারবে না।” 

তাকে আরো বলতে শোনা যায়, “আমাদের মূল নেত্রী যে ডিসিশন দেবে, পরামর্শ ক্রমে সেটাই করব। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা আমাদের চূড়ান্ত খেলার মধ্যে, সিদ্ধান্তের মধ্যে যে যেখানে যে অবস্থায় থাকবেন পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে রাতে আসবেন। মরলে সবাই মরি, বাঁচলে সবাই বাঁচি। মৃত্যু আমাদের নির্ধারিত আছে, কিন্তু কুলাঙ্গারদের কাছে যেনো মারা না যাই। আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যে যেনো চড়-থুতু না পড়ে।” 

তিনি বলেন, “ঘরের মধ্যে থাইকা আমাদের মৃত্যুর মতো অবস্থা হইতাছে। আপনারা আলোচনা করেন যার যার মতো। কেউ জাতীয় নেতা, কেন্দ্রীয় নেতা হতে যাইয়েন না, লাভ নেই। আমরা ফল পাইছি, নেত্রী এখন মাঠ পর্যায়ের লোক খুঁজছে। পদ দেইখেন না, যারা আর্দশের লোক, আমাদের ত্যাগী লোক, তাদের সামনে দেন। যারা দলের জন্য কাজ করে, জীবন দেয় তাদেরকে নিয়ে আর তিরস্কার কইরেন না। পদ বড় না, আর্দশ ও ব্যক্তিত্ব বড়।” 

আরও পড়ুন

“৭৭ বছরের পুরনো দল। আমাদের ছাত্র সংগঠন যারা করে তারা বিগত দিনে বিরোধী দল দেখে নাই। তাদেরকে এখন বুঝান, কৌশলগত ট্রেনিং দেন। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করা যাবে না। পাড়া, মহল্লায় ফোন দিয়ে স্যরি বলে বলুন, আমরা এই সমাজের মানুষ। জাতির পিতা আমাদের দেশটা দিয়ে গেছেন, আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই,” যোগ করেন তিনি। 


জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সবার নামে মার্ডার কেস দিয়ে রাখছে। এভাবে মানুষ বাঁচতে পারে না। আমরা ১৬ বছর বহু দিছি, আর দরকার নাই। এখন কাজের দরকার। ঢাকা জেলাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে যোগাযোগ করছি। সময় ও পরিস্থিতিতে যা করার দরকার তাই করব। সেজন্য আমরা ছোটভাই বড়ভাই যারা আছি একসঙ্গে করতে চাই। অল্প সময়ের মধ্যে আপনারা মূল ম্যাসেজটা পাইবেন, কোথা হতে কি করতে হবে। আমরা প্রমাণ করে দিতে চাই, আমরা কার সৈনিক। আমাদের জাতির পিতা ঘুমিয়ে আছেন, উনি কষ্ট পাচ্ছেন। এজন্য নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ না রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজটা শুরু করতে চাই। কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, একটা রেজাল্ট পাবেন। কাজে কিছুটা গ্যাপ আছে, কয়েকদিনের মধ্যে সেটা পূরণ করব। বেঁচে থাকলে সবার সঙ্গে দেখা হবে আর মৃত্যু হলে বেহেশতে দেখা হবে।” 

ফোন কলের স্ক্রিনে জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও রফিকুল হাসান (ইউপি চেয়ারম্যান), তরিকুল (ইউপি সদস্য), নেত্রকোনা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আতিকুর রহমান, কাফি উদ্দিন, বাদশা, পঞ্চগড়ের উপপ্রচার সম্পাদক মারুফ রহমান, নাঈম দুর্গাপুর উপজোল, রায়ঘাটির সাধারণ সম্পাদক নাহিদ, সাদিয়া জাহান সাবা, তাজুল ইসলাম সভাপতি জাতীয় শ্রমিকলীগ মেহেরপুর, ইকরামসহ অনেকের নাম দেখা যায়। 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাভারে  স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে বদলি পরীক্ষকের জেল চার শিক্ষককে অব্যাহতি ও তিন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

ডিগ্রি ছাড়াই ডাক্তার সেজে রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন আ.লীগ নেতা

রাজশাহীতে ট্রেন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

রাজশাহীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নদীপাড়ে গাঁজার চাষ