ভিডিও রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

তিস্তা রক্ষায় পদযাত্রায় মানুষের ঢল

তিস্তা রক্ষায় পদযাত্রায় মানুষের ঢল, ছবি: সংগৃহীত

‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন চলছে। তিস্তা পাড়ের ভুক্তভোগীদের দাবি, এবার তাদের বাঁচা-মরার লড়াই। পানির হিস্যা আর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দুর্ভাগ্যের অবসান শেষেই ঘরে ফিরবেন তারা। 

এ পদযাত্রায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীসহ তিস্তাপাড়ের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়েছেন। আজ বিকেলে কর্মসূচির সমাপনী গণসমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দিবেন।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার পর এ কর্মসূচি শুরু হয়। উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলায় ১১টি পয়েন্টে এ কর্মসূচি একসঙ্গে শুরু হয়েছে। গণপদযাত্রাটি লালমনিরহাট প্রান্তের তিস্তা ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে রংপুরের কাউনিয়া বাজারে গিয়ে শেষ হবে।এর আগে গতকাল সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তিস্তা পাড়ে ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান, জনতার সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচি। রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু-সংলগ্ন পয়েন্টে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বন্ধুত্ব চাইলে ভারতকে ‘দাদাগিরি’ বন্ধ করে আগে তিস্তার পানি দিতে হবে। 

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, সীমান্তে গুলি করে হত্যা বন্ধ করেন। আর আমাদের সঙ্গে বড় দাদার মতো আচরণ বন্ধ করেন। আমরা আমাদের পায়ের ওপর দাঁড়াতে চাই। আমরা আমাদের হিস্যা বুঝে নিতে চাই। আমরা অবশ্যই ভারতকে বন্ধুত্বের সঙ্গে দেখতে চাই। যে বন্ধুত্ব হবে সম্মানের সঙ্গে আমাদের পাওনা বুঝিয়ে দেবার।প্রথম দিনের মতো মঙ্গলবার সমাপনী দিনেও সকাল থেকেই ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’। সেইসঙ্গে প্রতিবাদ হিসেবে দেশীয় সংগীত, নৃত্য। 

দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতেও শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী কিংবা পুরুষ সবারই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছেন।পদযাত্রায় অংশ নিয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক আসাদুল হাবিব দুলু গণমাধ্যমে জানান, বাংলাদেশের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব চাইলে ভারতকে পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। 

৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা অববাহিকার ১১৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে। তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী হওয়া সত্ত্বেও ভারত একতরফা বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রায় ছয় লাখ হেক্টর জমিতে সেচের জন্য পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর বাংলাদেশের জন্য পানি ছাড়ে। যার ফলে শুষ্ক মৌসুমে বিপাকে পড়তে হয় বাংলাদেশের মানুষকে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ করায় ভারতই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগ নিয়ে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা

মানুষের জন্য ইতিবাচক কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে : ডিএমপি কমিশনার

ফ্রান্স-স্পেন সফরে যাচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

মিয়ানমারে পাচারকালে ৩৪০ বস্তা সরকারি ইউরিয়া সার জব্দ 

এবারের বাজেট দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন বাজেট না: পরিকল্পনা উপদেষ্টা