বগুড়ায় কনসার্টের ভেন্যু পরিদর্শন করলেন ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ প্রতিনিধিদল

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের শিল্প সংস্কৃতি এগিয়ে নিতে ‘সবার আগে বাংলাদেশ। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ১১ এপ্রিল সর্বজনীনভাবে উদযাপনের জন্য বাংলাদেশী শিল্পীদের অংশগ্রহণে কনসার্ট আয়োজন করেছে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ সংগঠন। দেশের চারটি বিভাগে একসাথে এসব অনুষ্ঠানে দেশের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।
‘সবার আগে বাংলাদেশ’ আয়োজিত কনসার্ট’র জন্য ভেন্যু নির্বাচনের লক্ষ্যে বগুড়ার ঐতিহাসিক ‘আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ’ ও ‘সরকারি আজিজুল হক কলেজ খেলার মাঠ’ পরিদর্শন করেছেন সংগঠনটির প্রতিনিধি দল। আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় ‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এর প্রতিনিধি বিশিষ্ট সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ মাঠ দুটি পরিদর্শন করেন।
এসময় আতিকুর রহমান রুমন বলেন, বিগত সরকারের সময় বিজাতীয় সংস্কৃতিতে দেশ ছেয়ে গিয়েছিলো। দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ হতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের ভাওয়াইয়াসহ এই অঞ্চলের গান গুলো যাতে হারিয়ে না যায় এবং স্থানীয় শিল্পীদের যাতে মূল্যায়ন হয় এই কারণে এই কনসার্টে স্থানীয় শিল্পীরাও গান গাইবে। তিনি বলেন, কিছু কিছু গান দেশর সব ভেন্যুতে এক সাথে শুরু হবে।
চারটি কনসার্ট এক সাথে শুরু হবে এবং এক সাথে শেষ হবে। এই কনসার্টে স্বদেশীয় সকল কিছুই থাকবে। দেশের বাইরে থেকে কোনো শিল্পী আনা হবে না। দেশের খাতিমান সংগীতশিল্পীদের নিয়েই এই কনসার্ট হবে। বিদেশী শিল্পী নয় বরং আমাদের দেশের শিল্পীদের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি সবার মাঝে তুলে ধরাই মূলত সবার আগে বাংলাদেশ এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুনএ সময় উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম, সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান সজল, নূর মোহাম্মদ রিপন, বিএনপি মিডিয়া সেল রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কো-অডিনেটর সিনিয়র সাংবাদিক কালাম আজাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার প্রমুখ।
আগামী ১১ই এপ্রিল বাংলাদেশের চারটি জায়গায় একসাথে একইভাবে একই রকম অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ মিলে বগুড়ায়। কনসার্টে ঢাকার সঙ্গীত শিল্পী, রাজশাহী এবং রংপুর অঞ্চলের শিল্পী, কৌতুক অভিনেতা, আবৃত্তিকার থাকবে। রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের কনসার্ট টিমের প্রধান সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বগুড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনী থাকবে। অনুষ্ঠানের আশেপাশে পুরো এলাকায় সিসিটিভি আওতায় থাকবে। সবার আগে বাংলাদেশ সংগঠনের নিজস্ব সিকিউরিটি থাকবে প্রায় চার শতাধিক।
মন্তব্য করুন