ভিডিও শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে জমজমাট ঈদ বাজার

ঠাকুরগাঁওয়ে জমজমাট ঈদ বাজার। ছবি : দৈনিক করতোয়া

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। প্রতিদিন শহরের মানুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রেতারা আসছেন মার্কেটে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ১২ টা বা তার কিছুক্ষণ পর সময় পর্যন্ত ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিপণী বিতান গুলোতে। বিশেষ করে গার্মেন্টস (কাপড়ের দোকান) গুলোতে ভিড় বেশি। পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকস, পাঞ্জাবি, প্যান্টের দোকানসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকানেও রয়েছে আলাদা ভিড়।

আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) পৌর শহরের নর্থ সার্কুলার রোডের লক্সারি হাউজ, আসলাম কালকেশন, সুপ্রিয় ফ্যাশন, শতরুপা, জ্যান্টস গ্যালারী, ল্যাটেস্ট কালেকশন, ঘোমটাসহ গার্মেন্টস (কাপড়ের দোকন) এ গিয়ে জানা যায়, সকাল ৯ টায় ক্রেতা সমাগম হতে শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্রেতা গেঞ্জি, শার্ট, বিভিন্ন ধরনের প্যান্ট, থ্রি-পিস, শাড়ি, লেহেঙ্গা, ওড়না, প্যান্ট পিস, শার্ট পিস ইত্যাদি বেশি কিনছেন। লক্সারি হাউজে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুুরুষের বেশ কয়েকটি দল সেখানে ভিড় করছেন। দোকানদারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতারা সেখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করছেন।

ঈদের জন্য মেয়ের জামা-কাপড়, জুতা কিনতে আসা পৌর শহরের শাহপাড়ার গৃহিণী রিক্তা বলেন, ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও তিনি আগে ভাগেই এসেছেন, দাম কম পাওয়ার আশায়। তিনি তার মেয়ের জন্য জামা ও জুতা কিনবেন। বেশ কয়েকটি দোকানে ঘুরে পছন্দের জামা ও জুতা কিনেছেন বলে জানান তিনি।  তার সঙ্গে থাকা পৌর শহরের জমিদারপাড়া মহল্লার রেশমা আক্তার জানান, বিভিন্ন জিনিসের দামের সাথে সাথেও কাপড়ের দাম কিছুটা বেড়েছে। পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলায় সাথে ঠাকুরগাঁও জেলার কাপড়ের দামের ব্যবধান কিছুটা বেশি।

আরও পড়ুন

নর্থ সাকুলার সড়কের আসলাম কালেকশনের স্বত্বাধিকারী মো: আসলাম জানান, দিন যত বাড়ছে ক্রেতার সমাগম তত বাড়ছে। অনেকেই পণ্যের দাম কিছুটা সস্তায় পাওয়ার আশায় ঈদের অনেক আগে-ভাগেই মার্কেটে আসেন। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে দাম বেশির ব্যাপারে তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পোশাকে দাম সামান্য বেশি মনে হতে পারে। তবে ক্রেতা সমাগম ঘটছে প্রচুর। এ বছর টি-শার্ট, সুতি পাঞ্জাবী, জিন্সের প্যান্ট বিক্রি বেশি। পাশাপাশি দেখছি নারীদের শাড়ি ও মেয়েদের বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশি।

এর মধ্যে মেয়েদের জিমিচুর, অর্গেঞ্জা, জর্জেট, জিনন, হোয়াইট গোল্ডের মধ্যে নতুন বিভিন্ন কাপড়, সুতি পাকিস্তানি হালকা কাজের মধ্যে, সিল্ক কাপড়ের পাকিস্তানি, কাতান, জারারা, গ্রাউন, লেহেঙ্গা, ডালিসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাকের চাহিদা রয়েছে। বাচ্চাদের কাপড়-চোপড়ও বিক্রি হতে দেখা যায় প্রচুর।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে গণমাধ্যম কমিশন

স্বৈরাচারের দোসররা যেন পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ না পায়: তারেক রহমান

জবিতে ছাত্রদলের সাবেক বর্তমানের সমন্বিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করবে এনসিপি

তিস্তার পানি বণ্টন

সিরাজগঞ্জে নামাজে ভুল ধরে মসজিদের ইমামকে মারপিট