লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আলুর উৎপাদন খরচ বেশি দাম কমের কারণে হতাশ কৃষক

করতোয়া ডেস্ক : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় এ বছর আলুর আবাদ বেড়েছে। গত বছর আলু চাষে লাভ হওয়ার কারণে এ বছরও আলু আবাদ করেছেন পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকেরা। আলুর উৎপাদন খরচ বেশি, দাম কম হওয়ার কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। তারা জানান, এ বছর বীজ আলু ৮০ থেকে ১শ’ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে।
এছাড়াও কীটনাশকের দাম ও শ্রমিকের মজুরি বেশি ছিল। এর ফলে প্রতি কেজি আলু উৎপাদন খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা। অথচ প্রতি কেজি আলু বিক্রি করতে হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি। ফলে এ বছর আলু আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন এখানকার কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাটগ্রাম কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে,উপজেলায় চাষযোগ্য জমি রয়েছে ২১ হাজার ২৬০ হেক্টর।
চলতি মৌসুমে আলুর চাষ হয়েছে ২৬০ হেক্টর জমিতে। গত বছর হয়েছিল ২৫০ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি অন্যান্য শীতকালীন শাকসবজি আবাদ হয়েছে ৭৫০ হেক্টর জমিতে। পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের কৃষক আবেদ আলী (৫০) বলেন, আলুর বীজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি। আলু বিক্রি করেছি ১৩ টাকা কেজি। বীজ,সার কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি বেশির কারণে ব্যয় বেশি হয়েছে। দাম কমের কারণে উৎপাদন খরচও উঠছে না।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে একই ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল লতিফ (৪৬) ও মোকছেদুল ইসলাম (৪০) বলেন, পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফার স্যারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও কীটনাশক জমিতে দিয়েছি। আলুর কোন রোগ দেখা দেয়নি। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে এ বছর আলুর বীজের দাম বেশি এবং আলুর দাম কম থাকার কারণে আমাদের লোকসান হয়েছে।
পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার বলেন, গত বছর আলুর দাম ভালো হওয়ায় এ বছর চাষিরা আলু আবাদের দিকে বেশি ঝুঁকেছে। পাটগ্রাম উপজেলায় বিগত বছরের তুলনায় এ বছর আলুর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। তবে বীজ ও মজুরি বৃদ্ধির কারণে আলুর উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে।
মন্তব্য করুন