‘ঐতিহাসিক’ সফরে সৌদির পথে ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিন দিনের ‘ঐতিহাসিক’ সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরটি তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি তার প্রশাসনের গভীর আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়। সফরের প্রথম পর্যায়ে তিনি কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক জোরদার করা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সফরে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবেন।সফরের মূল লক্ষ্যগুলোর হলো—
আর্থিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করা : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন শিল্পে এক ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। এই বিশাল বিনিয়োগের লক্ষ্য হলো মার্কিন অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা। ক্রাউন প্রিন্স এর আগে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা এই নতুন প্রস্তাবের মাধ্যমে আরও বৃদ্ধি পাবে।
আঞ্চলিক কূটনৈতিক উদ্যোগ : প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং সৌদি আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ আলোচনাসহ আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করবেন। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য এই উদ্যোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনসন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা : এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের ওপরও আলোচনা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করতে চায়।
এই সফর মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতার জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সফরের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর হবে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন