মাদারীপুরে বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

মাদারীপুরের দুই উপজেলার তিনটি পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সদর উপজেলার চর গোবিন্দপুর, একই উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের কুন্তিপাড়া এলাকায় এবং রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, খুলনার কয়রা উপজেলার মৃত মোবারক মোল্লার ছেলে কাজল মোল্লা (৪৫), সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কালিগাঁও খাজড়া এলাকার মৃত ইমজিয়াজ মোড়লের ছেলে হাফিজ মোড়ল (৫৫) ও রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সারিস্তাবাদ গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে ইমন মোল্লা (১৫)।
কাজল খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর এলাকার একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আর হাফিজ ঘটমাঝি ইউনিয়নের কুন্তিপাড়া এলাকায় ধানকাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে মাদারীপুরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়। এ সময় সদর উপজেলার চরগোবিন্দপুর এলাকার জেএসবি ইটভাটার কাঁচা ইট সংরক্ষণ করতে যান কাজল। এ সময় বজ্রপাতে আহত হন তিনি। ইটভাটার অন্য শ্রমিকরা কাজলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনএকই সময় কুন্তিপাড়া এলাকায় শাজাহান শেখের ফসলি জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন হাফিজ। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজকেও মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সারিস্তাবাদ গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারান কিশোর ইমন।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের কালবৈশাখী ঝড়ে মাদারীপুরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে কয়েক হাজার মানুষ। ক্ষতি হয়েছে খেতে থাকা ফসলেরও।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি আদিল হোসেন বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে দুজন শ্রমিক। তারা অন্য জেলা থেকে এখানে কাজের জন্য এসেছিলেন। তাদের স্বজনদের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
মন্তব্য করুন