বগুড়ার খামারে খামারে প্রস্তুত কুরবানির পশু, গো-খাদ্যের দাম না বাড়ায় স্বস্তি
 copy_original_1747498987.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার খামারে খামারে প্রস্তুত কুরবানির পশু। বিগত কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় দাম বাড়লেও এবার অনেকটাই স্থিতিশীল গো-খাদ্যের বাজার। ফলে স্বস্তি নিয়ে কুরবানির পশু প্রতিপালন করছেন খামারিরা। এদিকে গত কয়েক বছর ধরেই কুরবানির জন্য দেশি গরুর চাহিদা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বগুড়া প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের কুরবানির জন্য জেলার মোট ৫১ হাজার ১৪৬ জন খামারি তাদের পশু প্রস্তুত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় দুই হাজার ৬৯৩টি বেশি। গত বছর জেলায় খামারির সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৪৫৩ জন। গত বছর কুরবানির জন্য পশু প্রস্তুত ছিল ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৫টি। এবার প্রস্তুত করা হয়েছে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪২টি পশু। গত বছরের তুলনায় এবার পশু বেশি প্রস্তুত আছে ১২ হাজার ৪২৭টি।
বগুড়া সদরের শ্যামবাড়িয়া এলাকার খামারি পুটু সরকার বলেন, গত কয়েক বছরে দফায় দফায় গো-খাদ্যসহ পশু চিকিৎসার খরচ বাড়লেও এবার দাম অনেটাই স্থিতিশীল। ফলে উৎপাদন খরচ গত বছরের মতই। এখনও কুরবানির বেচাকেনা শুরু না হলেও চলমান যে দাম আছে এরকম থাকলে খামারি লাভবান হবেন।
আরেক খামারি মিরাজ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই তিনি কুরবানির জন্য গরু লালন-পালন করে আসছেন। চাহিদার কথা মাথায় রেখে খামারের সবগুলো গরুই দেশি প্রজাতির এবং আকারও ছোট থেকে মাঝারি। ঈদকে সামনে রেখে গরুগুলোকে সবুজ ঘাসসহ নানান পুষ্টিকর খাবার খাওয়াচ্ছেন। বর্তমান বাজারে পশু প্রস্তুতকারী ও কুরবানিদাতা উভয়ই স্বস্তি নিয়ে বেচাকেনা করতে পারবেন।
গো-খাদ্য বিক্রেতা সলেমান মিয়া বলছেন, বিগত কয়েক বছর পাল্লা দিয়ে দফায় দফায় গো-খাদ্যের দাম বাড়লেও এবার দাম গত বছরের মতই। গো-খাদ্যের বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও খড়ের দাম কিছুটা বেশি। তিনি বলেন, ধানের কুড়া প্রতি ৪০ কেজির বস্তা মানভেদে ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকা, ৩৭ কেজির ভুষি (মোটা) প্রতি বস্তা এক হাজার ৮শ’ এবং ৫৫ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা চিকন ভুষি ২৭শ’ টাকা, প্রতি বস্তা খৈল (৩৭ কেজি) দেড় হাজার টাকা, এবং ৫০ কেজি ওজনের চালের কুড়া মান ভেদে ১৮শ ৩০ থেকে, দুই হাজার ১শ’ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। তবে খড় গত বছর প্রতি আঁটি ৬ টাকায় বিক্রি হলেও এবার দাম বেড়ে ৯ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুনএদিকে গরু ব্যবসায়ী খোরশেদ মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত বগুড়ায় কুরবানির পশুর বেচাকেনা শুরু হয়নি। যাদের বাড়িতে গরু রাখার জায়গা রয়েছে তারা শখ করে পশু কিনছেন। এছাড়াও খামার ঘুরে ঘুরে গরু দেখে দর-দাম করছেন কেউ কেউ, দু’একজন খামারেই গরু কিনেও রাখছেন।
আরেক ব্যবসায়ী মো. শফিকুল বলছেন, এবার কুরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। বাণিজ্যিক খামারের পাশাপাশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা তাদের বাড়িতে গরু প্রতিপালন করেন। লাভজনক হওয়ায় এর পরিমাণ বেড়েছে।
তবে গত বছরের তুলনায় গো-খাদ্যসহ পশু প্রতিপালনে সবকিছুর দাম স্থিতিশীল থাকায় কুরবানিদাতার স্বস্তি নিয়ে পশু কিনতে পারবেন। দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার বিভিন্ন আকারের গরু প্রতি খুব একটা বেশি দামের হেরফের হবে না।
মন্তব্য করুন