নওগাঁর ধামইরহাটে লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত গবাদিপশু, আতঙ্কিত কৃষক ও খামারিরা

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশুর শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন নামক রোগের প্রাদুর্ভাব। রোগের সুনির্দিষ্ট কোন প্রতিষেধক না থাকায় এবং সঠিক চিকিৎসার অভাবে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক পশু মারা যাচ্ছে। আগামী কোরবানি ঈদের আগে এমন ভাইরাস এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় গবাদিপশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ কৃষক ও খামারিরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ মাসে উপজেলা প্রাণিসম্পদ থেকে লাম্পি ভাইরাসে ৫৫টি গরুর চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে ১০১টি গরু এবং চলতি মে মাসে (আংশিক) মোট ৪২টি গরুকে লাম্পি ভাইরাস আক্রান্ত গরুকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তবে গত কয়েক মাসে এ পর্যন্ত মোট কতগুলো গরু লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তার সঠিক কোন তথ্য প্রদান করতে পারেনি প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।
উপজেলার পশু চিকিৎসক, গৃহস্ত ও খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক বছর থেকে ল্যাম্পি ভাইরাস দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার পাশাপাশি আমাদের উপজেলায় বেশ বিস্তার লাভ করে। গতবছরের তুলনায় চলতি বছরে ল্যাম্পি ভাইরাসে প্রায় কয়েক হাজার গরুর শরীরে এ ভাইরাস দেখা দিয়েছি। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেক গরু মারা গিয়েছে।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ভাইরাসে আক্রান্ত গরুকে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে সচেতন গৃহস্থ এবং খামারিরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এসে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করাচ্ছেন। আগামী কোরবানি ঈদে আগে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে না এলে এবার বড় ধরণের লোকসান হবে বলে মনে করছেন গরু ব্যবসায়ী এবং খামারিরা।
আরও পড়ুনউপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াজেদ আলী জানান, লাম্পি ভাইরাসের সরকারি ভ্যাকসিন চাহিদা মতো পাওয়া যায় না। অল্প সংখ্যক ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। জরুরিভিত্তিতে সেগুলো সঠিকভাবে গবাদিপশুকে পুশ করা হয়।
তাছাড়া আমরা প্রাণিসম্পদ থেকে সঠিক চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি খামারি ও কৃষকদের সচেতন করার লক্ষে বিভিন্ন সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। গ্রামের সাধারণ মানুষ যারা গরু পালনের সাথে জড়িত তাদের সাথে উঠোন বৈঠক এর মাধ্যমে লাম্পি ভাইরাস সর্ম্পকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন