নিরুত্তাপ বগুড়ার গরম মসলার বাজার

স্টাফ রিপোর্টার : কুরবানি ঈদের বাকি এক সপ্তাহ। এই ঈদকে সামনে রেখে বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে বিগত বছরগুলোতে দেশের গরম মসলার বাজার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে এবারের চিত্র অনেটাই ভিন্ন। বছরের ব্যবধানে সাদাএলাচ ছাড়া স্থিতিশীল বেশিরভাগ মসলার দাম। আর আদা-রসুন-পেঁয়াজের দাম বছর ঘুরে বেশ কমেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বগুড়ার ফতেহ আলী ও রাজা বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় সাদাএলাচের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। গত বছরের এই সময় এই মসলা মানভেদে ২৮শ’ থেকে চার টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার তা চার হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
কালো এলাচ গত বছর এই সময় ২৭শ’ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার তা মানভেদে ২৬শ’ থেকে তিন হাজার, জিরা গত বছর ৬শ’ আর বর্তমানে ৬শ’ থেকে মানভেদে ৬২০ টাকা কেজি, লবঙ্গ গত বছর ১৭শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এবার এক হাজার ৩৪০ থেকে দেড় হাজার টাকা, দারুচিনি গত বছরের দাম ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, গুলমরিচ ১২শ’ থেকে মানভেদে ১৪শ’ টাকা, বজ গত বছর ৯শ’ থেকে এক হাজার টাকা এবছর ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা, ধনিয়ার গত বছরের দাম ২শ’ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আদার দাম গত বছরের এই সময় ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি এবছর ১শ’ থেকে ১২০ টাকা এবং রসুন গত বছর ১৮০ থেকে ২১০ টাকা আর এবার ১শ’ থেকে দেড়শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, গত বছর ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও হলুদের গুঁড়ার কেজি ৩৬০ এবং মরিচের গুঁড়া ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুনবগুড়ার ফতেহ আলী বাজারের মসলা বিক্রেতা মিজান মিয়া বলেন, কুরবানি ঈদের বাড়তি চাহিদাকে পুঁজি করে সাধারণত মসলার দাম বাড়ে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে এই দাম বৃদ্ধির কারসাজি করেন।
তবে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় আমদানি যেমন বেড়েছে তেমিন সিন্ডিকেট নেই বললেই চলে, তাই এবছর মসলার দাম অনেকটাই স্থিতিশীল। তিনি আরও বলেন, মসলা আমদানি নির্ভর পণ্য হওয়ায় মূলত আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরাই এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন, যার প্রভাব পড়ে খুচরা পর্যায়ে।
মন্তব্য করুন