সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
পাওনা টাকা ফেরত না দেয়ার জন্যই মামলায় জড়ানো হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : ব্যবসার পাওনা দেড় কোটি টাকা ফেরত প্রদান না করতেই বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার কাশেম শেখের ছেলে সোহেল শেখ কৌশলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার তিনটি মামলায় জড়িয়ে দেন পাওনাদার রেজাউল করিমকে। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রেজাউল করিমের নিকটাত্মীয় গাবতলী উপজেলার চককাতলী এলাকার আসাদুর রহমান।
এসময় লিখিত বক্তব্যে আসাদুর রহমান বলেন, তার ভগ্নিপতি রেজাউল করিম একজন চাকরিজীবী। চাকরি সূত্রে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। কোন প্রকার রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত ছিলেন না। চাকরির পাশাপাশি তিনি বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার কাশেম শেখের ছেলে সোহেল শেখকে পার্টনার হিসেবে নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায়ীক হিসেবে তিনি সোহেল শেখের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা পাওনাদার ছিলেন।
ওই টাকা দিতে বললে সোহেল তাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে ৫ আগস্টের পর সোহেলের পূর্বপরিচিত গাবতলী উপজেলা মহিলা দলের এক নেত্রীকে ভুল বুঝিয়ে তার দায়ের করা গাবতলী থানায় একটি ও বগুড়া সদর থানার একটি মামলায় রেজাউল করিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকার শাজাহানপুর থানায় আরেকটি মামলায় রেজাউল করিমকে আসামির অন্তর্ভুক্ত করে দেন সোহেল শেখ।
আরও পড়ুনএদিকে মামলার বাদি বিএনপি’র ওই নেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান রেজাউল করিমকে চেনেন না।
বর্তমানে রেজাউল করিমের স্ত্রী নাহিয়া আকতার তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সোহেল শেখের হুমকির কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন