লালপুর হাসপাতালে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত দুইদিনে ৮৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮০ জনই পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) কর্মী বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ অতিরিক্ত রোগী ভর্তির কারণে রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। শয্যা খালি না থাকায় অনেক রোগীকে রাখা হয়েছে বারান্দায় ও মেঝেতে।
গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে লালপুর ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়। হাসপাতালের পুরষ ও মহিলা ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় চাদর ও পাটি বিছিয়ে ৫০-৬০ রোগীকে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রচন্ড গরমে রোগী ও স্বজনদের হাঁসফাঁস অবস্থা।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে হাসাপাতালে ডায়রিয়ার রোগী আসতে শুরু করেছে। গতকাল শনিবার (৩১মে) ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছেন মোট ৩৪ জন। গতকাল রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত ২২ জন নতুন করে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি আছে ৮৯ জন এর মধ্যে ৮০ জনই ইপিজেডের কর্র্মী। প্রতি ঘন্টাতেই এই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ১৩৮ রোগী ভর্তি ছিলেন।
অতিরিক্ত ভর্তি ৮৮জন রোগী ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় বিছানা করে সেবা নিচ্ছেন। এসব রোগীর মধ্যে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আজম সরকার বলেন, হাসপাতালে বেশিরভাগ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ইপিজেডের কর্মী। তারা সবাই খাবার ও পানি পান করার পর থেকে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে খাবার ও পানির মধ্যে জীবনার ছিলো যা খাবার পর থেকে ছরিয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুনলালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মুনজুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎ করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। শয্যার তুলনায় এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেশি ১৩৮ জন রোগী ভর্তি আছেন।
ডায়রিয়া রোগ নিয়ে ৮৯ জন রোগী ভর্তি আছেন এর মধ্যে ৮০ জনই পাশের ঈশ্বরদী উপজেলার ইপিজেড কর্র্মী। তারা সবাই খাবার ও পানি পান করার পর থেকে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত রোগী ভর্তির কারণে রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। তারপরেও আমরা সাধ্য মত কাঙ্খিত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন