রংপুরে জমে উঠছে কোরবানির পশুহাট

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদ উল-আজহার আর মাত্র চারদিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠছে রংপুরের কোরবানির পশুর হাট। রংপুর জেলার ৮ উপজেলা ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনে এলাকাসহ ছোট-বড়, স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় শতাধিক হাট রয়েছে।
এরমধ্যে লালবাগের হাট, বুড়ির হাট, নিসবেতগঞ্জের হাট, চওড়ার হাট, বেতগাড়ির হাট, খানসামার হাট, পাওটানার হাট, চৌধুরানীর হাট সবসময় জমজমাট কোরবানি পশু কেনাবেচার জন্য বিখ্যাত। এসব হাটে এবার দেশি গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের প্রাধান্য রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, রংপুরে কোরবানির পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫২টি। জেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ১২ হাজার খামার রয়েছে। আর এসব খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩১২টি।
এই জেলায় চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬১টি। হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটা হাটেই গত সপ্তাহের তুলনায় গরু-ছাগল যেমন বেশি উঠেছে, তেমনি বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ। কেননা ঈদ আসন্ন হওয়ায় প্রতিটি হাটেই পুরোদমে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তবে পশুর দাম নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আরও পড়ুনরংপুর ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন বলেন, পশুখাদ্যসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় রংপুরের অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আবার অনেক খামার বন্ধের পথে। যারা আছেন তাদের অনেক সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এবার গরুর মাংসের কেজি ৭শ’ থেকে ৭৫০ টাকার কমে বিক্রি করলে খামারিদের লোকসান হবে।
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. আবু ছাঈদ বলেন, কোরবানির ঈদে চাহিদা পূরণ করেও উদ্বৃত্ত পশু থাকবে। হাটগুলোয় যাতে কেউ অসুস্থ গরু বিক্রি করতে না পারে, সেজন্য জেলার বিভিন্ন হাটে মেডিকেল টিম কাজ করছে। পাশাপাশি হাটে আসা কোনো গরু অসুস্থ হলে মেডিকেল টিম চিকিৎসা দেবে এমন ব্যবস্থাও রয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, হাটগুলোতে চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধে কন্ট্রোল রুম, গোয়েন্দা নজরদারি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া মলম পার্টি, হালুয়া পার্টিসহ ছিনতাই ও ডাকাতির বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন সজাগ ও সতর্ক রয়েছে।
মন্তব্য করুন