চলতি জুলাই মাসেও চালু হচ্ছে না জবি'র ফুডকোর্ট

জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২য় ফুডকোর্ট চালু হওয়ার কথা ছিল অনেক আগেই।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিলো , চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই এটি চালু হবে। তবে সেই আশা এবারও পূর্ন হচ্ছে না। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের কোনো নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
জবির প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র ক্যাফেটেরিয়া। যেখানে মাত্র ৬০টি আসন রয়েছে। একটি মাত্র ক্যাফেটেরিয়া থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন ভর্তুকি দেওয়া হয় না।
একটি মাত্র ক্যাফেটিরা থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ দিনে দুপুর ২টার পরে কখনো কখনো খাবার পায় না আবার কখনো শিক্ষার্থীদের বাইরে দাঁড়িয়ে খাবার খেতে হয় এছাড়াও আবার অনেক অস্থাকর পরিবেশে খাবার খায় । যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্বিতীয় ফুডকোর্ট নির্মাণ করার প্রস্তাবনা করে।
পূর্বের বরাদ্দকৃত বাজেট হিসেবে গত সাত মাস পূর্বে ফুডকোর্ট নির্মাণ কাজ শুরু করলেও এখন ফুডকোর্ট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে তবুও এখনও ফুডকোর্ট চালু হয় নাই। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, "চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই ফুডকোর্ট চালু হচ্ছে না তবে অতিদ্রুত চালু করা হবে। আামাদের কিছু খঁটি নাটি বিষয় ছিলো, সেটা আজকে আমরা সমাপ্ত করেছি।আগামীকালকের মধ্যে তোমরা অফিশিয়ালি চিঠি পেয়ে যাবে। আমরা যেই বিক্রেতার কাছে ফুডকোর্টের দায়িত্ব দিতে যাচ্ছি তার সাথে আমরা ইতোমধ্যে কিছু বিষয় আলোচনা করেছি। "
আরও পড়ুনগতকয়েকদিন পূর্বে ফুডকোর্ট সম্পর্কে চীফ ইন্জিনিয়ারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমাদের ফুডকোর্ট নির্মাণের সমস্ত কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে। এখন এই কাজের দায়িত্ব আর ইন্জিনিয়ারিং দপ্তরের অধীনে নাই তবে আমার জানা মতে ইতোমধ্যে একজন বিক্রেতা ফুডকোর্টের দায়িত্ব পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন যেহেতু ফুডকোর্টের সমস্ত কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে তাহলে চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই ফুডকোর্টটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফুডকোর্ট চালুর বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন,"১৩ লক্ষ টাকায় ফুডকোর্ট নির্মাণ করা হলো কিন্তু চালু হচ্ছে না কেন! এ বিষয়ে প্রশাসনের জটিলতা কোথায়? আমরা দেখেছি লিফট স্থাপনের পূ্র্বে ফুডকোর্ট নির্মাণ সম্পন্ন হলেও এখন চালু হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য ১টি মাত্র ক্যাফেটেরিয়া থাকায় শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি আপনারা দ্রুত ফুডকোর্টটি চালু করেন।"
মন্তব্য করুন