ভিডিও বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

ন্যায়বিচার পেয়েছি, রায় দ্রুত কার্যকর চাই : মেজর সিনহার বোন

ন্যায়বিচার পেয়েছি, রায় দ্রুত কার্যকর চাই : মেজর সিনহার বোন, ছবি: সংগৃহীত।

বহুল আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় ঐতিহাসিক। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন রায়টা কার্যকর করা হয়।সোমবার (২ জুন) হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৬ আসামির যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামির ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ বহাল রাখা হয়েছে রায়ে। যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামিরা হলেন, টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।আসামিদের আপিল খারিজ করে সোমবার (২ জুন) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান রায়ের মূল অংশ পাঠ করে শোনান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারল শামীমা দিপ্তী,ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ,লাবনী আক্তার। আদালতে মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস, সাবেক সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পাঁচদিন পর ২০২০ সালের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় র‌্যাব। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি সাত আসামি খালাস পান। পরে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা আপিল করেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ায় শিমুল হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা ডাবলুসহ দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর 

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বৃদ্ধি তীর সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন

বগুড়ার দুই ট্রাভেলস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, হজে যেতে পারেননি ১১ জন

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ইয়াবাসহ পাঁচজন গ্রেফতার

জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় শৃঙ্খলা ফিরেছে নওগাঁর পশুর হাটগুলোতে