ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বৃদ্ধি তীর সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বৃদ্ধি তীর সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন। ছবি : দৈনিক করতোয়া

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাঙালি নদীর পানিও ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন কবলিত এক কিলোমিটার এলাকায় যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ যাত্রায় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোনও শঙ্কা নেই।
সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৭৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সোমবার এ নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৩ মিটার।

আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৩ দশমিক ৭৩ মিটার, অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় এ নদীর পানি ৭৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ২৫ মিটার। অর্থাৎ যমুনার পানি এখনো বিপৎসীমার ২ মিটার ৫২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে যমুনার সাথে এ উপজেলায় বাঙালি নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত সোমবার বাঙালি নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ৪৭ মিটার।

আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) বাঙালি নদীর পানির উচ্চতা হয়েছে ১২ দশমিক ৭৯ মিটার, অর্থাৎ গত ২৪ ঘন্টায় এ নদীর পানিও ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ উপজেলায় বাঙালি নদীর পানির বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ মিটার, অর্থাৎ বাঙালি নদীতে পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে ২০২৩ সালে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা গ্রামে ভয়াবহ যমুনা নদীর ভাঙনে এ গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবারের বাড়িঘর যমুনা নদীতে বিলীন হয়। ভাঙন মোকাবিলায় বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড গত শুষ্ক মৌসুমে সেখানে কাজ শুরু করে। এতে এ গ্রামের যমুনা নদীর ডানতীরের এব কিলোমিটার এলাকায় জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে এবং তীর বাঁধাই করা হয়েছে। ফলে এখানে যমুনা নদীর ভাঙন রোধ হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নদী ভাঙনের কাজ সমাপ্ত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন

বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে যমুনা এবং বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দুই দিন পানি এভাবে বাড়তে থাকবে, তারপর পানি আবারো স্থিতিশীল হয়ে কমতে শুরু করবে।

তবে এ যাত্রায় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা নেই। শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীর ডানতীরের স্লপ প্রটেকশন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে আশা করা যাচ্ছে ইছামারা গ্রামের এক হাজার  একর ফসলি জমি এবং ৫শ’ পরিবারের লোকজন নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দিনাজপুরের বাজারে জমে উঠেছে ‘খাইট্টা’ বিক্রি

হজের খুতবায় যা বললেন ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ

গুমের ঘটনায় প্রধান ভূমিকা পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও সিটিটিসির : তদন্ত কমিশন

শ্যালিকার হাতে খুন হয়েছেন দুলাভাই

‘‘সাবিলা নূর অভিনন্দন তোমাকে”

গাজীপুরের টঙ্গীতে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ