ভিডিও বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫

বগুড়ার এপিবিএন সাইবার ক্রাইম সেলের ২৬৬টি হারানো মোবাইল উদ্ধার

বগুড়ার এপিবিএন সাইবার ক্রাইম সেলের ২৬৬টি হারানো মোবাইল উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারে জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছে চার এপিবিএন বগুড়ার সাইবার ক্রাইম সেল। গত ছয় মাসে এই ইউনিটের সদস্যরা প্রযুক্তির সহযোগিতায় ২৬৬টি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তা প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দিয়ে চমক দেখিয়েছে।

সে হিসেবে মাসে গড়ে ৪০টির বেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করছে এই সেলের সদস্যরা। চার এপিবিএন বগুড়ার কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) অতিরিক্ত ডিআইজি মো: শহীদ আবু সারোয়ারের দিক নির্দেশনা ও নেতৃত্বে সাইবার ক্রাইম সেলের সদস্যরা এই সক্ষমতা দেখাচ্ছেন।

সাইবার ক্রাইম সেল সূত্র জানায়, প্রযুক্তির সহযোগিতায় গত ছয় মাসে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি-ছিনতাই হওয়া ২৬৬টি বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্ড্রয়েড বা স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়। এরপর এর প্রকৃত মালিকদের ডেকে সেই ফোনগুলো হস্তান্তর করা হয়। সূত্র জানায়, চলতি বছর ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ৪০টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০টি, মার্চ মাসে ৪৮টি, এপ্রিল মাসে ৫৬টি, মে মাসে ৫০টি এবং গত বছর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আরও ২২টিসহ সব মিলিয়ে ২৬৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধারের পর সেগুলো কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা তা দেখে প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, গত ছয় মাসে প্রতারণার মাধ্যমে নগদ ও বিকাশ একাউন্ট থেকে ১৭টি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে।

পরে সাইবার ক্রাইম সেলের সদস্যরা এসব ঘটনায় হাতিয়ে নেয়া ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭১০ টাকা উদ্ধার করেন। এরপর টাকাগুলো ভুক্তভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই সাথে হ্যাক করা ১৮টি ফেসবুক, ১১টি হোয়াটসঅ্যাপ, ছয়টি জিমেইল আইডি উদ্ধার ও ১০টি ফেক আইডি শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়া ২৬ জন নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, অভিযোগ পেলে প্রথমে তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় হারানো মোবাইল ফোনটি দেশের কোথায় এবং কার কাছে আছে তা শনাক্ত করা হয়। এরপর স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তায় বা চার এপিবিএন বগুড়ার সাইবার ক্রাইম সেলের সদস্যরা নিজেরা সেখানে গিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন। এ ক্ষেত্রে যার কাছে মোবাইল ফোন থাকে তার কাছে এর কেনার প্রকৃত কাগজপত্র চাওয়া হয়।

আরও পড়ুন

কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হলে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। সূত্র জানায়, মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই হলেও থানায় ভুক্তভোগী প্রায় সবাই মোবাইল ফোন হারানোর বিষয়ে জিডি করে থাকেন। যে কারণে জিডির সূত্র ধরে মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তবে মোবাইল ফোন ফেরত দিতে কেউ গড়িমসি করলে প্রয়োজনে তাকে আটক করে ফোন উদ্ধার করা হয়।

সূত্র জানায়, মোবাইল ফোন হারালে সংলিষ্ট থানায় জিডি করতে হয়। এরপর জিডি’র কাগজপত্রসহ চার এপিবিএন বগুড়ার সাইবার ক্রাইম সেলের সাথে যোগাযোগ করলে তারা থানা পুলিশের পাশাপাশি মোবাইল উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। সাইবার ক্রাইম সেলে যোগাযোগের হট লাইন নম্বর হলো, ০১৩২০-১৯০২০৫ ও ০১৩২০-১৯০২০৬।

চার এপিবিএন বগুড়ার কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) অতিরিক্ত ডিআইজি মো: শহীদ আবু সারোয়ার বলেন, তাদের সাইবার ক্রাইম সেল হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধারে কাজ দারুণ করছে। তাদের এই উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। শুধু মোবাইল ফোন উদ্ধারই নয়, প্রতারণার মাধ্যমে নগদ ও বিকাশ একাউন্ট থেকে হাতিয়ে নেয়া টাকা উদ্ধার, সেইসাথে হ্যাক করা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও জিমেইল আইডি উদ্ধার এবং ফেক আইডি শনাক্ত করেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এছাড়া নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে সাইবার ক্রাইম সেল কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, মোবাইল ফোনসহ নগদ ও বিকাশের টাকা উদ্ধারের পর তা প্রকৃত মালিকদের হস্তান্তর করা হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম সেলের এই উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নাটোরে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

এখন তো বড় গরু কেনা ডিফিকাল্ট : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পবিত্র হজের খুতবা শুরু হয়েছে

‘নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার গড়িমসি কেন ?’

জেনেভা ক্যাম্পে অভিযানে আড়াই কোটি টাকাসহ গ্রেপ্তার ১০

আদালতের চৌকাঠে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা