সংকটাপন্ন অবস্থায় এটিএসআই জাহাঙ্গীর
বগুড়ায় দুই পুলিশ ছুরিকাঘাতের ঘটনায় সন্ত্রাসী নিশান গ্রেফতার, স্বীকারোক্তি
_original_1750346768.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় দুই পুলিশকে ছুরিকাহত করে পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না সন্ত্রাসী মুরাদুন্নবী নিশানের। গতকাল বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম সোনাতলার নওদাবগা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার নিশান সদরের ঝোপগাড়ীএলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, মাদক ব্যবসা, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে হাফ ডজন মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ছিল। এর আগে মাদক মামলার রায়ে তার এক বছর সাজা দেন আদালত।
এদিকে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হলে সে ওই দুই পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
গত ১৫ জুন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া সদরের ঝোঁপগাড়ি এলাকায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি নিশানকে গ্রেফতার করতে যান উপ-শহর ফাঁড়ির সহকারী টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (এটিএসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ও কনস্টেবল মো. মানিকুজ্জামান মানিক (৪৫)। এসময় ওই দুই পুলিশ সদস্য তার বাড়ি থেকে আসামি নিশানকে আটকও করেন। কিন্তু এসময় জামা পড়ার কথা বলে নিশান বাড়িতে র্যাকের ভিতর থেকে ছুরি বের করে। এরপর ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তারা চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুনবগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানিয়েছেন আহত দু’জনের মধ্যে এটিএসআই জাহাঙ্গীর আলমের অবস্থা গুরুতর। আজও তার খাদ্যনালীতে আরও একটি অস্ত্রপচার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী নিশান তার পেটসহ দুটি স্থানে এবং কনস্টেবল মানিকুজ্জামানের উরুতে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে এটিএসআই জাহাঙ্গীরের পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায় এবং খাদ্যনালী ফুটো হয়। আজ তার খাদ্যনালীতে অস্ত্রোপচার করা হয়। আজ তাকে আরও পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তাকে সুস্থতার জন্য মোট ১০ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হলো। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। হাসপাতালে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত নিশান একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। পুলিশের ওপর হামলা করে পালিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানে হয়েছে।
মন্তব্য করুন