দিনাজপুরের কাহারোলে মাচায় চিচিংঙ্গা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে

কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : কাহারোলে মাচায় চিচিংঙ্গা চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার তাড়গাঁ ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে ইছাইল ব্লকের ছাতইল জিএপি পাটনার ফিল্ড স্কুল প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্স ফর সোস্যাল ফর নিউট্রিসন, এন্টারপ্রেরনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পাটর্নার) কাহারোল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় চিচিংঙ্গা বঙ্গরেখা জাতের খরিপ-১/২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে জিএপি সবজি উৎপাদন জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষক মো: বাবুল ইসলাম ১ একর জমিতে মাচায় চিচিংঙ্গা আবাদ করে এই প্রথম কাহারোল উপজেলা নিরাপদ সবজি উৎপাদনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
তার সবজি ক্ষেত দেখার জন্য জেলা সহ পাশ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে চাষিগণ তার এই সবজি বাগান দেখতে আসছেন প্রতিদিন। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় তার নিরাপদ সবজি বাগানে গিয়ে দেখা যায়, চিচিংঙ্গা ক্ষেত্রে মাক্স পরিধান অবস্থায় শ্রমিকেরা ক্ষেতে কাজ করছেন। কৃষক বাবুল জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সার্বিক সহযোগিতায় আমি ১ একর জমিতে চিচিংঙ্গা নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছি। এখন পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। দুই দিন পর পর আমি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা এই চিচিংঙ্গা বিক্রি করছি। আমি আশা করছি আমার এই ১ একর জমি থেকে সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকার নিরাপদ এই সবজি বিক্রি হবে।
তিনি আরও বলেন, বাজারে অন্য চিচিংঙ্গার তুলনায় আমার চিচিংঙ্গা চাহিদা বেশি। বিদেশে রপ্তানি হলে আমার ১ একর জমি থেকে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা আয় আসা সম্ভব। এদিকে বিরল উপজেলার ভেড়াপুর গ্রামের কৃষক হান্নান এই চিচিংঙ্গা ক্ষেত দেখতে এসে বলেন, এই ক্ষেত দেখে খুবই ভাল লাগছে আমি এই কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরামর্শ চেয়েছি আমি চিচিংঙ্গা আবাদের জন্য।
আরও পড়ুনউপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য কৃষককে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে এবং সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিদিন সবজি ক্ষেত মনিটরিং করা হচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তা বলেন, যে পরিমাণ চিচিংঙ্গা ধরেছে তাতে করে কৃষকের লাভ হবে। এই চিচিংঙ্গা যেন বিদেশে রপ্তানি করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কৃষি বিভাগ।
মন্তব্য করুন