বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নার্সারি করে স্বাবলম্বী সাইফুল

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলার নিভৃত পল্লী এলাকা গোবিন্দপুরের শ্রীপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪৭) নার্সারি করে এখন স্বাবলম্বী। উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের পৈতৃক সম্পত্তি বলতে বসতবাড়িসহ চার বিঘা জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। এক সময় তাদের চরম অভাব-অনটন ছিল।
তার বাবা প্রয়াত বেলাল হোসেনের অনুপ্রেরণায় সাইফুল ইসলাম প্রায় ২৮ বছর আগে ১৯৯৬ সালে তাদের বাড়িসংলগ্ন শ্রীপুর দিঘিরপাড়ে চার বিঘা জমিতে ভাই ভাই নার্সারি স্থাপন করেন। বাবা ও তির ভাইসহ বাগানে বিভিন্ন ফলদ, বনজ, ঔষধি গাছের চারাসহ বিভিন্ন জাতের ফুলের চারা রোপণ করেন। এক সময় তাদের ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটে। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে চারা কিনেন।
এছাড়াও সাইফুল বিভিন্ন হাট-বাজার জনবহুল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ চারা ও ফুলের গাছ বিক্রি করতে থাকেন। এতে লাভও হয় প্রচুর। বর্তমানে তাদের ব্যবসার আরো প্রসার ঘটেছে। নার্সারিসংলগ্ন অন্যের চার বিঘা জমি পত্তন নিয়ে মোট আট বিঘা জমিতে নার্সারি গড়ে তুলেছেন। বিশাল এই নার্সারিতে তারা নিজেরা ছাড়াও সাতজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন।
সাহারপুকুর বাজার সংলগ্ন তার নার্সারিতে গিয়ে সরজমিনে দেখা গেছে, সাইফুল ইসলাম তার নার্সারিতে বিভিন্ন গাছের চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। কাজের ফাঁকেই কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, নার্সারি করে এখন তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা স্বাবলম্বী।
আরও পড়ুনএক সময় তাদের সংসারে অভাব-অনটন থাকলেও এখন সংসারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা। তিনি আরও জানান, বছরের প্রায় প্রতিদিনই তার বিভিন্ন ফলদ, বনজ, ঔষধি গাছের চারাসহ ফুলের চারা বিক্রি হলেও বর্ষা আর শীত মৌসুমে তার ফুলের চারাসহ ফলের চারা বিক্রির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
এছাড়াও স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসগুলো এলেই তাদের ব্যবসা ভালো হয়। সেই সময় প্রচুর ফুলও বিক্রি হয়ে থাকে। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই দিবসগুলোতে প্রায় ৩ থেকে ৪ গুণ লাভও হয়।
তিনি আরও জানন, প্রতি বছর গড়ে এই নার্সারি থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় করে থাকেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে আগামীতে তাদের এই ব্যবসার আরো প্রসার ঘটানোর আশা রয়েছে। স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বাগান প্রসারের কাজও শুরু করেছেন তারা।
মন্তব্য করুন