ঠাকুরগাঁওয়ে বিএডিসিতে নজরদারির দায়িত্ব গাছের ঘাড়ে!

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুগাঁওয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) খামার ও আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। উদ্দেশ্য নজরদারি, অপরাধ দমন এবং সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা যেন ঠিক উল্টো!
তিনতলা ভবনের মতো লম্বা নারিকেল গাছ। বয়স পেরিয়ে গেছে বহু বছর। কাঠামোয় ঘুন ধরেছে, শাখা-প্রশাখা নুয়ে পড়েছে। এ গাছের গায়েই ঝুলে আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভরসার দুটি সিসি ক্যামেরা। বাতাসে নারিকেল গাছ দোলে, তার সাথে তাল মিলিয়ে দোলে ক্যামেরাও। ফলে ভিডিও ফুটেজ হয় ঝাঁপসা ও অস্পষ্ট। যেন নজরদারি ও নিরাপত্তার নামে চলছে এক প্রহসন।
বিএডিসির একজন সার ও বীজ ডিলার মোজাহারুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যামেরা যেখানে বাতাসে নড়ছে, সেখানে কীভাবে কেউ অপরাধীকে চিনতে পারবে? এখানে যা করা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ দায়িত্বহীনতা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক মনোতোষ কুমার দে বলেন, এটি এক ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক খামখেয়ালিপনা এবং জনগণের অর্থের অপচয়। ঠাকুরগাঁও বিএডিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক(আপৎকালীন মজুদ কর্মসূচি) শহীদুল্লাহ কায়সার অবশ্য বিষয়টি নিয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন নন। তিনি বলেন, যদি ক্যামেরা ভেঙে যায়, তখন দেখা যাবে। আপাতত তো ঠিক আছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও বিএডিসির খামার কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পরিচালক শারমিন আফরোজ ফোন রিসিভ করেননি। ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, গাছের গায়ে পেরেক মারা কিংবা বোঝা ঝুলিয়ে দেওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
এতে গাছ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছুদিন আগেও সাইনবোর্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম গাছ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্যও প্রচার চালানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন