ক্লাব বিশ্বকাপে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ ম্যানসিটি তারকা

স্পোর্টস ডেস্ক : ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে আরও দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি’র তরুণ ডিফেন্ডার রিকো লুইস। ফলে গ্রুপ পর্বে জুভেন্টাসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ এবং শেষ ষোলোর ম্যাচে তাকে পাচ্ছে না পেপ গার্দিওলার দল।
গত ১৮ জুন (বুধবার) ফিলাডেলফিয়ায় উইদাদ এসির বিপক্ষে ম্যাচে স্যামুয়েল ওবেনকে আঘাত করার ঘটনায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন লুইস। ম্যাচটি ২-০ ব্যবধানে জিতে নেয় সিটি, তবে ম্যাচের শেষ দিকে স্যামুয়েল ওবেনকে চ্যালেঞ্জ করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেছিলেন লুইস। প্রথমে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও পরে ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি আচরণবিধির ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের (ধারা ১, উপধারা ‘ই’) আওতায় শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে তিন ম্যাচে উন্নীত করে। বিষয়টি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে ফিফা।
বিবিসি জানিয়েছে, ম্যানসিটি অবশ্য শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেছিল। তবে সেই আপিল নাকচ করে দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। ফলে আল আইনের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে না পারার পর লুইসকে ছাড়া আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামতে হবে ইংলিশ ক্লাবটিকে। এ অবস্থায় গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে জুভেন্টাসের বিপক্ষে জয় চাই গার্দিওলার দলের। কিন্তু লুইসকে হারানোয় রক্ষণভাগে দল সাজাতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন সিটি কোচ। দলে রাইটব্যাক হিসেবে লুইসই একমাত্র স্বাভাবিক বিকল্প। বিকল্প হিসেবে মাঝেমধ্যে মিডফিল্ডার ম্যাথিউজ নুনেজকে ব্যবহার করা হয়, যিনি গত মৌসুমে এই পজিশনে কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে আল আইনের বিপক্ষে রাইট-ব্যাকে খেলানো হয় তরুণ আবদুকাদির খুসানোভকে। এছাড়া সেন্টার ব্যাক মানুয়েল আকাঞ্জিও কয়েক দফায় এই পজিশনে খেলেছেন।
আরও পড়ুনজুভেন্টাসের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের আগে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, রিকো লুইসের জায়গা কে পূরণ করবেন-গার্দিওলার কৌশলে সে জায়গায় কোন নামটি উঠে আসে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন