সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। সেই সাথে চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই বসতবাড়ি ও গাছপালাসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা স্টেশন হার্ডপয়েন্টে ৪১ সে. মিটার এবং কাজিপুর স্টেশনে ৩২ সে. মি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনা নদীর অভ্যন্তরে কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এবার যমুনা পাড়ের মানুষ বন্যারও আশঙ্কা করছে। বিশেষ করে কাজিপুর, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার সোনাতনি চর, ধিতপুর, বারপাকিয়া, চরঠুটিয়া, নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, কুড়াগাছা, ফেকশনপাড়া, চালাহারা, তেঘরি, উত্তর তেঘরি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপিয়ারি চর, মেছড়া চর, গোটিয়ার চরসহ বিভিন্ন চরে ভাঙন এখন তীব্র আকার ধারণ করছে। এ ভাঙনে ইতোমধ্যেই চরাঞ্চলের আখ পাট ও বাদামসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
চৌহালী উপজেলার স্থল ইউনিয়নের মেম্বার রহিজ উদ্দিনসহ কৃষক মান্নান, জালাল জানান, প্রতিবছরই চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে এ ভাঙন দেখা দেয়। এবার ভাঙনে বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বিশেষ করে এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় বর্ষণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং সেইসাথে ভাঙনের তীব্রতাও বাড়ছে এবং ভাঙনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা গো-চারণসহ বিভিন্ন ফসল চাষে বিপাকে পড়েছে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, কয়েকদিন ধরে যমুনায় পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪১ সে. মিটার পানি বাড়ছে এবং যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে ভাঙনের বিষয়ে জেনেছি।
ইতোমধ্যেই অনেক স্থানে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি এবং কমার সময় নদী ভাঙন দেখা দেয়। পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন