নেত্রকোনায় মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে চালককে হত্যা যুবকের যাবজ্জীবন

নেত্রকোনায় মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে চালককে হত্যার ঘটনায় মো. সাদেকুল ইসলাম (২৩) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
এ সময় আসামি সাদেকুল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আবুল হাসেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সাদেকুল ইসলাম (২৩) নেত্রকোনা পৌরশহরের পূর্ব কাটলী এলাকার মো. আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আরও পড়ুনআর ভুক্তভোগী ওই মোটরসাইকেল চালকের নাম ঝিনুক মিয়া (২৩)। তিনি নেত্রকোনা সদর উপজেলার পশ্চিম মেদনী গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ঝিনুক মিয়া তার ভাইয়ের মোটরসাইকেল ভাড়ায় চালাতেন। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সাদেকুল মদন উপজেলায় ষাঁড়ের লড়াই দেখতে যাওয়ার কথা বলে ঝিনুকের মোটরসাইকেল ভাড়া করে। তবে মদন থেকে ফেরার পর নানা জায়গায় ঘুরিয়ে পূর্বধলার শ্যামগঞ্জের দিকে রওনা করে। পথে শ্যামগঞ্জ বাজারের কাছে গিয়ে সাদেকুল মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে চালক ঝিনুককে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয় লোকজন ঝিনুককে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি শ্যামগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির চেকপোস্ট থাকায় ঝিনুককে ছুরিকাঘাতের পর মোটরসাইকেল রেখেই সাদেকুল পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত ঝিনুকের ভাই মো. টিটু মিয়া বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একপর্যায়ে পুলিশ অভিযুক্ত সাদেকুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে সাদেকুল জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মন্তব্য করুন