পিরোজপুরে জোড়া খুনের প্রধান আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার জোড়া খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি প্রবাসী ইউনুস আলী শেখকে রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে তাঁর বিদেশ পালানোর চেষ্টা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও উঠে এসেছে।
গতকাল সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন আজমপুর জয়নাল মার্কেট সংলগ্ন হাজী সবুর খান রোডের ২২ নম্বর বাড়ি থেকে র্যাব-২ এর সহায়তায় ইউনুস শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইউনুস আলী শেখ ১৭ জুন জাজিরা এয়ারওয়েজে ফ্লাইট বুকিং করেন। ওই টিকিট অনুযায়ী ২ জুলাই তার ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কুয়েত হয়ে সৌদি আরবের কাসিম যাওয়ার কথা ছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউনুস শেখের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক ইউনুস শেখ ইন্দুরকানীর চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর বলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। র্যাব রাতে মোহাম্মদপুর থানায় ইউনুস আলীকে সোপর্দ করেন। সেখান থেকে ইউনুসকে আজ মঙ্গলবার সকালে ইন্দুরকানীতে নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুনইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, জোরা খুনের মামলার প্রধান আসামি ইউনুস শেখকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ইন্দুরকানীতে আনা হয়েছে। পিরোজপুর আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হবে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ২৭ জুন রাত ১১টার দিকে বাড়ির সামনে পুকুরঘাটে চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম (৫০) ও তার ভাবী মুকুলী বেগমকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই হামলায় শহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম গুরুতর আহত হন। পরে শহিদুল ইসলামের বড় ভাই মর্তুজা হাওলাদার বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় ৬ জন নামীয় ও অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত শহিদুলের পর পর তিন বারের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। এছাড়া তার ভাই মনিরুজ্জামান সেলিম ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিলুপ্ত জেলা পরিষদের সদস্য।
মন্তব্য করুন