নিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৬ রাত
ঢাবিতে পাঁচটি ছাত্রী হলের ৫৮৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা শুরু
_original_1751387766.jpg)
ঢাবিতে পাঁচটি ছাত্রী হলের ৫৮৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা শুরু
ঢাবি প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি ছাত্রী হলের ৫৮৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য প্রথমবারের মতো চালু করা হলো আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে সরাসরি তাদের একাউন্টে পাবেন।
আজ মঙ্গলবার ( ১ জুলাই) উপাচার্যের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রতীকীভাবে বিভিন্ন হলের ১০ জন ছাত্রীকে এই সহায়তার টাকা হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এনামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, রোকেয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, শামসুন নাহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবা সুলতানা, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলেয়া বেগম, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ছালমা নাছরীন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ, ছাত্রী প্রতিনিধি উমামা ফাতেমা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এই সহায়তা একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রায় ৫৩ ভাগই ছাত্রী। অথচ তাদের জন্য মাত্র ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। অনেক ছাত্রী প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসে। ঢাকায় তাদের আত্মীয়স্বজন থাকে না। শুরুতে টিউশনিও মেলে না। সব মিলিয়ে তাদের জন্য জীবন কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারপরও শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
উপাচার্য আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এর অর্জন যেমন সমাজকে আনন্দ দেয় তেমনি সীমাবদ্ধতাও সমাজকে জানাতে হবে। বর্তমানে আমাদের ৫১ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি রয়েছে। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা চাই, ভবিষ্যতে এই সহায়তা সকল শিক্ষার্থীর জন্য বিস্তৃত হোক। এজন্য আমি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
তিনি জানান, চীনের অর্থায়নে একটি নতুন ছাত্রী হল নির্মাণের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। যেখানে চারটি নতুন ছাত্রী হল ও পাঁচটি ছাত্র হল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন সংকট অনেকটাই দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন