সিরাজগঞ্জের জোতপাড়া নৌঘাট পরিণত হয়েছে মনোরম বিনোদন কেন্দ্রে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের জোতপাড়া নৌঘাট চত্বর এলাকায় সে এক অন্যরকম দৃশ্য। খাবার হোটেল ও ফাস্টফুডের আড্ডাও কম নয়। আর যমুনার শীতল বাতাসে ফিরে আসে স্বস্তি। দৃশ্য যমুনা বিধৌত সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ওই নৌঘাট এলাকায়।
এলাকাবাসী জানান, যমুনার ভয়াবহ ভাঙনে প্রায় এক যুগ আগে চৌহালী উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং হাসপাতাল ও থানা ভবনসহ অনান্য প্রতিষ্ঠানও বিলীন হয়। পরবর্তীতে অস্থায়ী উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয় চৌহালী ডিগ্রি কলেজের একাংশ থেকে।
এখান থেকে উপজেলা প্রশাসনিক ও উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম চলছে এবং এ অস্থায়ী কার্যালয় সংলগ্ন ভাড়া বাড়িতে চলছে অনান্য দপ্তরের কার্যক্রম। আর বাবলাতলা মোড় নামকস্থানে একটি ভাড়া বাড়ি থেকে চলছে থানা কার্যক্রম। অর্থ্যাৎ এ ভয়াবহ ভাঙনে চৌহালী উপজেলা মানচিত্র থেকে বহু গ্রাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে যায়।
অবশ্য জেলা প্রশাসন ওই উপজেলার কোদালিয়া নামকস্থানে চৌহালী উপজেলা পরিষদ ভবন স্থাপনে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি ভয়াবহ ভাঙনেই জেলা সদরের সাথে চৌহালীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একমাত্র সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও এনায়েতপুর নৌঘাট থেকে নৌকাযোগে জীবন ঝুঁকি নিয়ে ওই চৌহালীর জোতপাড়া নৌঘাটে নামতে হয়।
এ ঘাটেই গড়ে ওঠা অস্থায়ী হোটেলে খাওয়া দাওয়া চলে যমুনার মাছে ভাতে এবং এখান থেকে সামান্য দূরে ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহনে বিভিন্ন কাজে যেতে হয় চৌহালী উপজেলা পরিষদে। এছাড়া যমুনা সেতু পার হয়ে টাঙ্গাইলের দেলদুয়া ও নাগরপুর হয়ে সড়ক পথে চৌহালী উপজেলা পরিষদে যাওয়া যায়। এ সড়ক পথেও ওই উপজেলায় যেতে কষ্টের সীমা নেই।
আরও পড়ুনসেই সাথে ভাঙা গড়ার জীবন এ উপজেলাবাসীর নতুন কিছু নয়। এ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা যমুনা ও যমুনার চর এবং এ উপজেলার অনেক অংশে এখনও সবুজে ঘেরা দৃশ্য। সেখানে না গেলে এ দৃশ্য বোঝা যাবে না। এরমাঝেও চৌহালীবাসী আনন্দ নিয়ে যুগ যুগ ধরে জীবনযাপন করছে।
আর সে আনন্দেই যমুনা পাড়ের কয়েকটি স্থানে প্রায় দিনভর আনন্দেরও আড্ডা জমে। বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেলে চলো যাই এখন ওই জোতপাড়া নৌঘাটে। এঘাট এলাকায় নানারকম আড্ডা জমে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষের এবং ঘাট সংলগ্ন গড়ে উঠেছে ৩ বছর আগে যমুনা ফুড কর্ণার। এ কর্ণারে আড্ডা ও যমুনার পাড়ে সেলফি তোলে প্রেমিক প্রেমিকারা।
যমুনা ফুড কর্ণারের ম্যানেজার কলেজছাত্র আকাশ বলেন, ফুড কর্নারে ৫/৭ জন কর্মচারী রয়েছে। প্রতিদিনই এখানে শুধু ফাস্টফুড আইটেম চলে। তবে আগের মতো আড্ডা জমে উঠছে না। কোন রকমভাবে মালিকের এ প্রতিষ্ঠান ধরে রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করুন