দুই বিভাগের রশি টানাটানি
বগুড়ার সোনাতলায় রাস্তার মাঝখানেই রয়ে গেল বৈদ্যুতিক পোল
_original_1755790134.jpg)
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক পোল রেখেই কার্পেটিং করা হচ্ছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ যানাবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ বিদ্যুৎ ও এলজিইডি বিভাগের রশি টানাটানিতেই রয়ে গেল রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক পোল।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণে জোড়াগাছা ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে গোসাইবাড়ি গ্রাম। ওই গ্রামের পূর্ব পাশে চরপাড়া-হাটকরমজা সড়ক। ওই বিদ্যালয় থেকে গ্রামের মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা পশ্চিম দিকে গিয়েছে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য মাত্র ২২০ মিটার। রাস্তাটি সম্প্রতি কার্পেটিং করতে এলজিইডি কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ওই সড়ক বক্স কাটিং শেষে খোয়া বিছানোর কাজ চলছে। গোসাইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাত্র ৩শ’ গজ দূরেই রাস্তার মাঝখানে রয়েছে বৈদ্যুতিক পোল।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিনিয়ত ওই রাস্তা দিয়ে অসংখ্য যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করে। পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা-যাওয়া করে ওই রাস্তা দিয়ে। দিনের বেলায় পথচারীরা কোন রকমে চলাচল করতে পারলেও রাতের অন্ধকারে ওই বৈদ্যুতিক পোলের সাথে যাত্রীবাহী পরিবহনের ধাক্কা লাগে। এতে করে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, পোলটি রাস্তার মাঝখান থেকে সরানোর জন্য ওই দুই বিভাগকে বহুবার অনুরোধ করেও কোন ফল হয়নি। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাতলা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল আহম্মদ বলেন, আমরা পোলটি স্থানান্তর করতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে (উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার) প্রায় মাস তিনেক আগে ডিমান্ড লেটার পাঠিয়েছিলাম। তিনি সেই পত্রের কোন উত্তর দেননি। যেহেতু পোলটি স্থানান্তর করতে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করতে হয়। ঠিকাদার শ্রমিক লাগিয়ে দিয়ে ওই কাজটি করবে। তাই এখানে ডিমান্ড পরিশোধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ওই রাস্তায় যখন পোল স্থাপন করা হয়, তখন রাস্তাটি সরু ছিল। এখন রাস্তাটি প্রশস্ত হওয়ার কারণে পোলটি রাস্তার মাঝখানে পড়েছে।
আরও পড়ুনঅপরদিকে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ দেখে শুনে রাস্তার মাঝখানে বৈদ্যুতিক পোল স্থাপন কেন করেছে? আর পোলটি স্থানান্তর করতে ডিমান্ড পরিশোধ করবে কে? এ সংক্রান্ত কোন বরাদ্দ নেই। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ডিমান্ড লেটার তিনি পাননি বলেও জানান।
মন্তব্য করুন