স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
_original_1755790049.jpg)
ফেনীতে রিকশাচালক স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ দেন।
গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার মাথিয়ারায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৮), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মহিম (৩৫) ও অপরজনের নাম রকি (২২)।
কামরুল ইসলাম নিজেকে যুবদল কর্মী দাবি করে পুরো ঘটনা রাজনৈতিকভাবে সাজানো মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী জানায়, ছয়মাস আগে লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে মাথিয়ারা এলাকার একটি কলোনিতে কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই দম্পতি। কয়েক মাস স্থানীয় বখাটেরা ওই গৃহবধূকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
মঙ্গলবার দিনগত রাত ৮টার দিকে স্থানীয় রকি কথা আছে বলে রিকশাচালক স্বামীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে গভীর স্বামীর অবস্থা খারাপ বলে তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে যান। পরে তারা কলোনির পাশের একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে নিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে মারধর করে তাকে মাদক দিয়ে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে কামরুল, মহিন ও রকি ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুনভুক্তভোগীর স্বামী জানান, ‘রাতভর বখাটেরা আমাকে আটকে রেখে মারধর করেন। সকালে তাদের থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় আসলে আমার স্ত্রীর সঙ্গে যা হয়েছে সেটি জানতে পারি। আমি এর বিচার চাই।
ভুক্তভোগী নারী জানান, ‘আমি দুই সন্তানের জননী। তারা এলাকার প্রভাবশালী। কয়েক মাস ধরে আমাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আমার স্বামীকে অন্যত্র আটকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি বখাটেদের বিচার চাই।
এদিকে অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি যুবদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। গত ১৫ বছর কমিটি গঠন না করায় কোনো পদবিতে নেই। দলীয় প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হেয় করতে এ ষড়যন্ত্র করেছে। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দেলু চেয়ারম্যানের ভাতিজা ও তার সহযোগীদের দেখা যাচ্ছে। তাদের অভিযুক্ত না করে ষড়যন্ত্র করে আমাকে অভিযুক্ত করে হয়রানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত বলেন, মাথিয়ারায় কামরুল নামে যুবদলের কোনো কর্মী নেই। তারপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন