চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান
৮ জুলাই সোমবার ‘বাংলা ব্লকেড’ এর দ্বিতীয় দিন

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পালাবদলের মুহূর্ত ২০২৪ সালের জুলাই। গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসের দিনগুলো ফিরে দেখতেই এই প্রয়াস।
আজ ৮ জুলাই,মঙ্গলবার । ২০২৪ সালের এই দিনে ছিলো সোমবার, সেদিন রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্ট ব্লক করেন। এদিন ঢাকার ১১টি স্থানে অবরোধ কর্মসূচি দেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া রাজধানীর বাইরে সারা দেশে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও ময়মনসিংহে রেলপথ অবরোধ করা হয় এবং সাভার, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, কুষ্টিয়া, রংপুর ও কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
এদিন দুপুরের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ডিপার্টমেন্ট থেকে শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে ব্যানার ও মিছিল নিয়ে এসে জড়ো হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে। সেখান থেকে সম্মিলিতভাবে ক্যাম্পাস ঘুরে তারা শাহবাগ মোড়ে আসেন।
এদিন রাজধানীর শাহবাগ মোড়ের কর্মসূচি থেকে পরদিন ৯ জুলাই (মঙ্গলবার) সারা দেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গণসংযোগ করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। এর পরের দিন ১০ জুলাই থেকে সর্বাত্মক অবরোধ করারও ঘোষণা দেন তারা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম জানান, বুধবারের (১০ জুলাই) কর্মসূচি আগামীকাল (৯ জুলাই) বিকালে অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
আরও পড়ুনরাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহবাগ থেকে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির সমাপনী বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ৫ জুন থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছি। আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি, সম্ভাব্য সব প্রক্রিয়ায় আমাদের দাবি জানিয়ে এসেছি। আমরা হুট করেই রাজপথে নামিনি। আমরা আমাদের দাবি জানিয়ে দিয়েছি। এখন বল সরকারের কোর্টে।
কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অর্ধবেলা ব্লকেড করছি। কিন্তু তাতে সীমাবদ্ধ থাকবো না। আমরা বুধবার থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক ব্লকেড করার জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) সারা দেশের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে অনলাইন ও অফলাইনে গণসংযোগ করবো। বুধবারের কর্মসূচি আগামীকাল অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন