৯ জুলাই ২০২৪
দেশজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা চলে ‘বাংলা ব্লকেড’

অনলাইন ডেস্ক: ২০২৪ সালের ৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের আরও একটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। এদিন ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির সময়সীমা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বর্ধিত করার ঘোষণা দেয়া হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরাও এদিন আন্দোলনে সরব হয়। শাহবাগে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলে। আন্দোলনের বাইরের দুই শিক্ষার্থীর উল্টো আপিল আবেদনে সরকারের সাধুবাদে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সেদিন ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের নবম দিন। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঘোষণা আসে।
মূলত সীমিত পর্যায়ে চলা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির সময় বাড়িয়ে সকাল-সন্ধ্যা করা হয়। সড়কের পাশাপাশি রেলপথের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতেও অবরোধের ডাক দেয়া হয়। সেই সঙ্গে, আদালত থেকে নয়, বরং কমিশন গঠন করে নির্বাহী বিভাগ থেকেই কোটা সংস্কারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
একদিকে শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলনের পরিসর আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে, তখন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার’ ব্যানারে তাদের বিপক্ষে বিক্ষোভ শুরু হয়। কোটা আন্দোলন প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণাও দেয় তারা।
আরও পড়ুনপ্রশ্ন যখন মেধার, তখন চুপ থাকেনি বুয়েটও। এতদিন আন্দোলনে সরাসরি অংশ না নিলেও ৯ জুলাই প্রথমবারের মতো সরব হয় বুয়েট শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্যাম্পাসে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করেন তারা। এ ছাড়া এদিন বরিশাল, হবিগঞ্জ, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলে।
এমনকি, এদিন ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এ খবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জানায়, ওই দুই শিক্ষার্থী আন্দোলনের অংশ নয়। আপিলের সিদ্ধান্তকে এদিন সাধুবাদ জানান তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শিক্ষার্থীদের একের পর এক নতুন কর্মসূচি এবং আপোসহীন মনোভাব ধীরে ধীরে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
মন্তব্য করুন