ভিডিও রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

শরফুদ্দৌলার সঙ্গে গিলের তর্ক : বল পরিবর্তন নিয়ে রুটের নয়া প্রস্তাব

শরফুদ্দৌলার সঙ্গে গিলের তর্ক : বল পরিবর্তন নিয়ে রুটের নয়া প্রস্তাব

স্পোর্টস ডেস্ক : ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার চলমান টেস্ট সিরিজে শুরু থেকেই বলের মান নিয়ে অভিযোগ-অসন্তোষ ছিল। গত শুক্রবার সেটি চরম আকার ধারণ করে। লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অনফিল্ডে দায়িত্বরত বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদের সঙ্গে ডিউক ব্রান্ডের বল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তর্কে জড়ান ভারতীয় অধিনায়ক শুবমান গিল।

শরফুদ্দৌলা ও গিলের সেই বিতর্কের জেরে ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটার জো রুট বল পরিবর্তন নিয়ে এক নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন। তার মতে, প্রতি ৮০ ওভারের মধ্যে প্রতিটি দলকে তিনবার বল বদলের সুযোগ দেওয়া উচিত, যেন বারবার বল বদলের কারণে খেলা ব্যাহত না হয়। দিনের খেলা শেষে এই মন্তব্য করেন রুট। ইংল্যান্ড ব্যাটারের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষাপট জেনে নেওয়া যাক। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ৮০ ওভারের খেলা শেষে নতুন বল নেয় ভারত।

কিন্তু মাত্র ১০.৩ ওভার পরই বলের আকার নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন ভারতীয়রা খেলোয়াড়রা। বলের আকার পরীক্ষা করে ত্রুটি পাওয়ার পর আম্পায়াররা সেটি পরিবর্তন করেন। কিন্তু নতুন বল নিলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। নিয়ম হচ্ছে, জরুরি কারণে যদি নির্ধারিত সময়ের (৮০ ওভার পর) আগে বল বদলাতে হয়, তাহলে এমন বল খুঁজে নেওয়া হয়, যেটি পরিবর্তিত বলের কাছাকাছি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ যদি সমস্যমান বলটি দিয়ে ১০ ওভার খেলা হয়, তাহলে আম্পায়ার বোলিং দলের হাতে এমন বল তুলে দেন যা দিয়ে ১০ ওভার বা তার কাছাকাছি খেলা হয়েছে। গিল নতুন বল নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান। তাদের মতে, এই বল ১০ ওভারের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। এর আকৃতি ১০ ওভার ব্যবহার হওয়া বলের মতো নয়। পাশেই থাকা সিরাজকে স্টাম্প মাইকে শোনা যায়, এইটা ১০ ওভারের পুরনো বল? সিরিয়াসলি? কমেন্ট্রি বক্স থেকে ভারতীয় ক্রিকেটার সুনিল গাভাস্কার বলে ওঠেন, এত দূর থেকেও দেখলে বোঝা যায় এটা ১০ ওভারের বল নয়, বরং ২০ ওভারের মতো লাগছে। প্রথমে দেওয়া নতুন বলে জসপ্রিত বুমরাহ মাত্র ১৪ বলে ৩ উইকেট তুলে নেন। তবে এরপর জেমি স্মিথ ও ব্রাইডন কার্স জুটি গড়ায় ভারত আর কোনো সাফল্য পায়নি প্রথম সেশনে।

প্রস্তাবে রুট বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, যদি কেউ বারবার বল বদলাতে চায়, তবে প্রতি ৮০ ওভারে তিনবার বল বদলের সুযোগ (চ্যালেঞ্জ) দেওয়া হোক। তবে বল পরীক্ষার রিং যেন যথাযথ মাপের হয়, বেশি বড় না হয়। এভাবে আমরা শুধু নির্মাতার (ডিউক ব্রান্ড) ওপর দোষ না চাপিয়ে একটি সমঝোতার পথ খুঁজে পেতে পারি। কারণ, আপনি বল বদলের জন্য বারবার সময় নিলে খেলার গতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে রুট এটাও বলেন যে, খেলোয়াড়দের পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই ক্রিকেটের অংশ হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, আমি জানি না বলগুলো কীভাবে তৈরি হয়, তবে যেহেতু এগুলো হাতে তৈরি, তাই একটির সঙ্গে আরেকটির পার্থক্য থাকবেই। এই গ্রীষ্মে সূর্য ও গরমের মাত্রা অন্য সময়ের চেয়ে ব্যতিক্রম, যা পিচ ও আউটফিল্ডের ওপর প্রভাব ফেলছে। এটা বলের আচরণেও প্রভাব ফেলতে পারে। যদি বল বিকৃত হয়, তবে সেটা বদলানো উচিত, কিন্তু এটাকে বড় ইস্যু বানানোর দরকার নেই। এটা খেলার অংশ এবং খেলোয়াড়দের যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। সুইং বন্ধ হয়ে যাওয়া, আবার হঠাৎ সুইং শুরু হওয়া এসবই খেলার রূপান্তর।

বল পরিবর্তন নিয়ে বুমরাহ বলেন, আমি বল পরিবর্তনের বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করি না। আমি শুধু জানি আমি কঠোর পরিশ্রম করি, অনেক ওভার বল করি, তাই বিতর্কিত কিছু বলে ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হোক সেটা চাই না। আমরা যে বল পাই, সেই বলেই বল করি। কখনো ভালো বল পাওয়া যায়, কখনো খারাপ। এটাই বাস্তবতা।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বগুড়ার শাজাহানপুরে ফোরকান হত্যা মামলায় আ’লীগের দুই নেতা গ্রেফতার

বগুড়ার শেরপুরে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আতাউর রহমান গ্রেফতার

দিনাজপুর পৌরসভার আশি ভাগ সড়কেরই বেহাল অবস্থা

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার নাগর নদে অবাধে চলছে পোনা মাছ নিধন

মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

বগুড়ার সোনাতলায় কৃষকলীগ নেতা মতিন গ্রেফতার