লক্ষ্মীপুরে ফেসবুকে সুসম্পর্ক তৈরি করে নোয়াখালীর যুবককে ডেকে এনে অপহরণ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: ফেসবুকে ফেক আইডি দিয়ে ফাঁদ পেতে শহিদুল ইসলাম (২৪) নামে নোয়াখালীর এক যুবককে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে এনে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এসময় তাকে মারধরসহ মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহিদকে উদ্ধার ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে আটক করে।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই ) সকালে ভুক্তভোগী শহিদ বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দুপুরে মামলায় আটক ৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে অভিযুক্তরা শহিদের সঙ্গে একটি সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে দেখা করার জন্য তারা চন্দ্রগঞ্জ নিয়ে আসে। চন্দ্রগঞ্জ এলেই তারা তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে। ভুক্তভোগী শহিদ নোয়াখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের আরিফ মিয়া রাজ বাড়ির মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও মাইজদি শহরের সিঙ্গার শো রুমের কর্মচারী।
থানা পুলিশ ও ভূক্তভোগী জানায়, রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে শহিদকে অভিযুক্তরা অপহরণ করে। পরে তাকে চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর এলাকার ধোপাঘাটা ট্রিল ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি দোকানের পেছনে নিয়ে মারধর ও মোবাইল-টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে তারা। টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল অভিযান চালিয়ে শহিদকে উদ্ধার করে। একইসময় অভিযুক্তদেরকেও আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুনতারা হলেন, ওমর ফারুক, রুমান আহমেদ রতন, সিফাত হোসেন ও মো. অনিক। এজাহারভুক্ত অপর আসামি নজরুল ইসলামকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করলেও কৌশলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় নজরুল তার কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে জানায় শহিদ।
ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বলেন, চন্দ্রগঞ্জ গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অভিযুক্তরা আমার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে তারা আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন