ভিডিও বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় সাঁতরে নদী পারাপার

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় সাঁতরে নদী পারাপার। ছবি : দৈনিক করতোয়া

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ২২০ ফিট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বারোমাসিয়া নদীর দু'পাড়ের হাজারও মানুষ। সাঁকোটি এক মাস আগে ভেঙে যাওয়ায় চরম  ভোগান্তি নিয়ে নদী সাঁতার করে পারাপার হচ্ছেন দু’পাড়ের হাজারও মানুষ। সব থেকে চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে কোমলমতি শিশু, শিক্ষার্থীসহ নারীরা। এই চরম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা বাঁশের সাকোটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন দু’পাড়ের বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকায় নবিউলের/আমিন মেম্বারের ঘাট নামে পরিচিত বারোমাসিয়া (বানিদাহ) নদীতে ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটির দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় দু’পাড়ের বাসিন্দারা কেউ এক বুক নদীর পানি পাড়ি দিয়ে  হেঁটে পার হচ্ছেন। অনেককে নদী সাঁতরিয়েও পারাপার করতেও দেখা গেছে।

দু’পাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর থেকে বারোমাসিয়া নদীটি পাড়ি দিয়েছেন ছোট ছোট ডিঙি ও মাঝারি নৌকা দিয়ে। তখন থেকে দীর্ঘ সময় পারাপার করতেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা। এরপর বারোমাসিয়া নদীর আঁকার ছোট হওয়ায় দু’পাড়ের বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয়। সেই সময় থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রায় টানা ১০ বছর ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে দুই পাড়ের হাজারও মানুষ পারাপার করে আসছে।

প্রতি বছর বর্ষার আগেই স্থানীয়রা যাতে বর্ষা মৌসুমে ভালো ভাবে নদী পারাপার করতে পারে সে জন্য বাঁশের সাঁকোটি মেরামত করে। তবে এবছরও মেরামতের প্রস্তুুতি দেন স্থানীয়রা। এরই মধ্যে ২৫ থেকে ২৬ দিন আগে হঠাৎ নদীর তীব্র স্রোতে নড়েবড়ে বাঁশের সাকোটি ভেঙে যায়। সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় দুপাড়ের বাসিন্দারা নদী সাঁতরিয়ে পারাপার করছে।

আরও পড়ুন

আবার অনেকেই এক বুক নদীর পানি মাড়ি দিয়ে হেঁটে পারাপার করছেন। ফলে গত এক মাস থেকে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী, চরগোরকমন্ডল, ঝাঁউকুটি, পশ্চিম ফুলমতি, নাওডাঙ্গা ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের হকবাজার এবং পাশ্ববর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাহাট ইউনিয়নের চরখারয়া এবং খারুয়াসহ ৮ গ্রামের হাজারও মানুষ এখন নদী পারাপারে চরম বিপাকে পড়েছেন।

কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার আহের আলী ও ঝাউকুটি এলাকার নুর ইসলাম জানান, এখানে বলার ভাষা নেই। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার প্রায় এক মাস হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত ভাঙা সাঁকোটি মেরামতের জন্য কেউ উদ্যোগ নেয়নি। আমরা প্রতিদিনই বাইসাইকেল কাঁধে নিয়ে বারোমাসিয়া নদী পারাপার হচ্ছি। আমাদের এই দুঃখ কষ্ট কেউ দেখছে না বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুপচাঁচিয়ায় ১১হাজার ৬শ’ ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ 

১০ হাজার কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ইতালির

জুলাই আন্দোলনে নিঁখোজ মিলনের জন্য এখনো পথ চেয়ে আছেন তার মা 

গোপালগঞ্জের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক জামায়াতের

খুলনায় পৌঁছেছেন নাহিদ-হাসনাতরা, রাত সাড়ে ৯টায় সংবাদ সম্মেলন

শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা