ভিডিও মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ট্রাম্পের নথি প্রকাশ

মার্টিন লুথার কিং হত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড়

ট্রাম্পের নথি প্রকাশ : মার্টিন লুথার কিং হত্যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড়, ছবি: সংগৃহীত।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত বহু গোপন নথি হঠাৎ প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এসব নথিতে রয়েছে কিংয়ের ওপর এফবিআইয়ের তৎপরতা, নজরদারি, এমনকি আগে কখনো প্রকাশ না হওয়া সিআইএর রেকর্ডও। দুই লাখ ৩০ হাজার পৃষ্ঠার এই দলিলপত্র ১৯৭৭ সাল থেকে আদালতের আদেশে জনসাধারণের নজরের বাইরে রাখা হয়েছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, নথি প্রকাশের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মার্টিন লুথার কিংয়ের পরিবার। তার দুই সন্তান-মার্টিন লুথার কিং তৃতীয় ও বার্নিস কিং-এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘এই দলিলপত্র যেন আমাদের বাবার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’ তারা এ-ও অনুরোধ করেন, নথিগুলো বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনার সময় যেন সহানুভূতি, সংযম ও সম্মানবোধ বজায় রাখা হয়। বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেন, ‘জীবদ্দশায় বাবার ওপর এফবিআইয়ের নেতৃত্বে যে নজরদারি, হেয় প্রচারণা ও আইনবহির্ভূত তৎপরতা চালানো হয়েছিল, তা ছিল অপমানজনক ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এতে তিনি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার স্বাধীনতাও হারিয়েছিলেন।’ তবে কিং পরিবারের সব সদস্য নথি প্রকাশ নিয়ে একমত নন। তার ভাইঝি আলভেদা কিং উল্টো এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞ। স্বচ্ছতার এই পদক্ষেপকে আমরা ঐতিহাসিক বলে মনে করি।’

১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল, টেনেসির মেমফিসে এক আততায়ীর গুলিতে নিহত হন মার্টিন লুথার কিং। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল মাত্র ৩৯ বছর। পেশাদার অপরাধী জেমস আর্ল রে হত্যার দায় স্বীকার করেন, যদিও পরে তিনি জানান তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন এবং তার দেওয়া স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের চেষ্টা করেন। তবে আদালত তার দাবি নাকচ করে দেয়। রে ১৯৯৮ সালে কারাগারেই মারা যান। এরপর ১৯৯৯ সালে একটি দেওয়ানি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি জুরি রায় দেয়, কিং কোনো একক আততায়ীর হাতে নিহত হননি-বরং এটি ছিল বড় ধরনের একটি ষড়যন্ত্রের ফল।

আরও পড়ুন

নতুন প্রকাশিত নথিতে রয়েছে এফবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ মেমো, কিংয়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের বিশদ বিবরণ এবং সিআইএর তদন্ত রিপোর্ট। জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘দশকের পর দশক এসব নথি ফেডারেল সংস্থাগুলোর আর্কাইভে অবহেলায় পড়ে ছিল। এই প্রথমবার এগুলো জনসাধারণের সামনে এল।’ এই উদ্যোগের সমন্বয় করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, এফবিআই, সিআইএ ও ন্যাশনাল আর্কাইভস। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি বলেন, ‘দেশের এক মহান নেতার হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানার অধিকার মার্কিন জনগণের রয়েছে।’

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরোধীরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে এসে নথি প্রকাশের নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। নাগরিক অধিকার নেতা রেভারেন্ড আল শার্পটন বলেন, ‘জেফ্রি এপস্টেইনের মৃত্যু ও সেটি ঘিরে সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে যে সমালোচনা চলছে, তা থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতেই এই নথি প্রকাশ করা হয়েছে।’

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড়ল সোনার দাম

পাকিস্তানকে উড়িয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

বগুড়ায় ৫ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা শুরু

ফরিদপুরে শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষ, বন্ধ বাস চলাচল

চার রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

বগুড়ার কাহালুতে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে এক ব্যক্তি